প্রকাশিত: ৫ ঘন্টা আগে, ০৮:২২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

পঞ্চগড়ে অসময়ের বৃষ্টিতে মরিচ চাষীদের  মাথায় হাত!




মোঃএনামুল হক পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি:

চলতি বছরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং চাষিদের অক্লান্ত পরিশ্রমে পঞ্চগড়ে মরিচের আবাদ খুব ভালো হয়েছে। তবে কয়েকদিন আগের টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে ’ যেন দুঃস্বপ্ন হয়ে আসে কৃষকের ঘরে।
সম্প্রতি বৃষ্টির প্রভাবে মরিচ খেতে পানি জমে থাকায় মরিচ ও টমেটো চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। যদিও তারা জানিয়েছেন, এ বছর টমেটো ও মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। অসময়ের বৃষ্টিতে জলবদ্ধতায় টমেটোতে কালচে দাগ ও পচন দেখা দিয়েছে। পানি জমে থাকায় গাছ ঝিমিয়ে গিয়ে মরে যাচ্ছে। চাষিরা বলছেন এবার বীজ, সার ও কীটনাশকের কারণে খরচ বেড়ে যাওয়ায় ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন তারা।জানা গেছে, এক বিঘা জমি প্রস্তুত, চারা রোপণ, কীটনাশক প্রয়োগ ও শ্রমিকের মজুরিসহ কৃষকের প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর অন্যের জমি হলে খরচ বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় দ্বিগুণ। আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রতি বিঘায় দেড় থেকে ২০০ মণ টমেটো বিক্রির আশা ছিল কৃষকদের। এদিকে, বৃষ্টির কারণে টমেটোর গায়ে ছোট ছোট কালচে দাগের পাশাপাশি পচন দেখা দিয়েছে। যার কারণে এখন দামও কম পাচ্ছেন কৃষকরা। বর্তমানে পাইকারি বাজারে টমেটো ১২ থেকে ১৬ টাকা কেজি ও ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কাঁচা মরিচ ৮০০ থেকে হাজার টাকা মন বিক্রি হচ্ছে পাইকারি বাজারে। এক কৃষককে দেখা যাচ্ছে মরিচ গাছগুলো মরে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের গাছ গুলো কেটে ফেলতেন । বিভিন্ন এলাকায় নিম্নাঞ্চলের উঠতি ফসলের মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জমির টমেটো ও কাঁচামরিচ সহ রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন কৃষকেরা । জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, মাঠজুড়ে রয়েছে টমেটোর ক্ষেত। গাছে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে কাঁচা-পাকা টমেটো। এর মধ্যে সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় অনেক টমেটো গাছ ঝিমিয়ে গিয়ে মারা যাচ্ছে। পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, এ বছর পঞ্চগড় জেলায় মরিচের আবাদ হয়েছে ৯৮৪৫ হেক্টর জমিতে আর টমেটো আবাদ হয়েছে ৭৩৮ হেক্টর জমিতে। টমেটো দুটি আবাদ ভালো হয়েছে । আবহাওয়া অনুকূলে ভালো থাকলে কৃষকরা লাভের মুখ দেখতে পারবেন ।

মন্তব্য করুন