হাটহাজারীতে গুলিতে নিহত আরিফ ছাত্রদল কর্মী, দাবী বিএনপি নেতার

মোঃ একরামুল হক
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে রাজনৈতিক সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন কিশোর ছাত্রদল কর্মী মোহাম্মদ আরিফ (১৭)। চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বুধবার (১১ জুন) সকালে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত আরিফ দক্ষিণ পাহাড়তলী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সন্দ্বীপ কলোনীর বাসিন্দা ও ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে।

আরিফ ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. গিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান। তিনি এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বলে করেন।একদল সন্ত্রাসী আতর্কিত ভাবে নিরীহ ছাত্র দল কর্মী আরিফের উপর গুলি চালায়।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে ‘ভাইজানের লোক’ পরিচয়ে সিএনজিযোগে আসা একদল অজ্ঞাত সশস্ত্র ব্যক্তি সাখাওয়াত নামে একজনকে খুঁজতে আসে। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে মাইকিং করে এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া দেয়। পালানোর সময় তারা চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে, যার একটি গিয়ে লাগে আরিফের পেটে। এতে তার নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চার দিন পর তার মৃত্যু হয়।

নিহতের বড় ভাই আলাউদ্দিন অভিযোগ করেন, “এই হামলার পেছনে ভুট্টো সুমন গ্রুপের লোকজন রয়েছে। তারা পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর গুলি চালায়।”

অন্যদিকে অভিযুক্ত ভুট্টো সুমনের স্ত্রী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, “ঘটনার পর সাখাওয়াতের অনুসারীরা আমাদের ঘরে হামলা চালিয়ে নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও পাঁচ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।”

হাটহাজারী মডেল থানার ওসি আবু কাওসার মাহমুদ হোসেন বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।” থানার সেকেন্ড অফিসার  নাজমুল হাসান জানান, ঘটনায় একটি এজাহার দাখিল হয়েছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন।