
প্রকাশিত: ৯ আগষ্ট, ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুরের ব্যস্ততম স্থান মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসেতুর নিচে চটে ঘুমানো নিয়ে ছুরিকাঘাতে জুয়েল (২৫) নামের এক ভাসমান যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জুয়েলকে উদ্ধার করে প্রথমে মাওনার একটি হাসপাতালে নেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, জুয়েলের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাটে। তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে জড়িত রাকিব (২৫) ও রবিনকে (২৭) আটক করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্ত মাখা ছুরি।
স্থানীয়রা জানান, মাওনা চৌরাস্তা দেশের ব্যস্ততম স্থান। এখানে কিছু ভাসমান শিশু কিশোর যুবক বিভিন্ন চুরি ছিনতাইসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। শুক্রবার রাতে এসব শিশু কিশোর যুবকেরর একটি দল মাওনা উড়াল সেতুর নিচে গল্প ছড়া'র চা ঘর নামক অস্থায়ী চায়ের দোকানের বেড়ার ভেতর ঘুমাতে যায়। পরে তাদের মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে এক যুবক ছুরিকাহত হয়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিশুরা জানায়, রাতে সবাই ওই চায়ের দোকানের ভেতর ঘুমাতে যায়। চটের উপর শুয়াকে কেন্দ্র করে জুয়েল, রবিন ও রাকিবের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় তারা মারামারি শুরু করে। এক পর্যায়ে রাকিব তার সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে জুয়েলের বুকে পাড় দেয়। ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, রাতে মাওনা উড়াল সেতুর নিচে গল্প ছড়া'র চা ঘর নামক অস্থায়ী চায়ের দোকানের বেড়ার ভেতর এক দল শিশু কিশোর যুবক ঘুমাতে যায়। বিছানো চটের উপর শুয়াকে কেন্দ্র করে জুয়েল, রাকিব ও রবিনের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। ধস্তাধস্তির সময় ছুরির আঘাতে রবিনের হাতের রগ কেটে যায়। রাকিব সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে জুয়েলের বুকে আঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুইজনকে আটক করা হয়। উদ্ধার করা হয় রক্ত মাখা ছুরি। আহত রবিনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। নিহত ও আটকরা সকলে ভাসমান। তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।
মন্তব্য করুন