সুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ, ২০২৪, ১১:৫৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

পাওয়ার টিলারের পাওয়ারে পাকা সড়ক হলো কাঁচা!

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ছবিতে দেখা সড়কটি বাহ্যিক দৃষ্টিতে কাঁচা সড়ক মনে হলেও এটা একটি আস্ত পাকা সড়ক। সড়কটি নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চর আমান উল্লাহ ইউনিয়নের সাতাইশ দ্রোন গ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এটি একই গ্রামের ২ নং নুরানী ব্রিক ফিল্ডস থেকে উত্তরে চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেস গ্রামের দরবেশের বাজার পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটারের মতো সংযোগ সড়ক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাটি টানার পাওয়ার টিলারের অতিরিক্ত যাতায়াতের ফলে কালো পিস ঢালা সড়কটি পুরো কর্দমাক্ত হয়ে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পাশেই নূরানী ব্রিক ফিল্ডসের জন্য প্রতিনিয়ত মাটি বোঝাই করে নিয়ে যায় অনেকগুলো পাওয়ার টিলার। আর পরিবহনকৃত মাটিগুলো রাস্তার উপর পড়তে পড়তে রাস্তাটি সমতল হওয়া সত্ত্বেও পুরো রাস্তাজুড়ে মাটিতে ছেয়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে উক্ত এলাকার বাসিন্দা এবং সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী পথচারীগণ। 

পথচারীরা জানায়, সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তাটি পুরো পিচ্ছিল হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। কর্দমাক্ত সড়কে চলতে গিয়ে সম্প্রতি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে অসংখ্য পথচারী হয়েছে এবং পরিবহন। একদিকে বৃষ্টি হলে কাঁদা অন্যদিকে রোদ হলে প্রচন্ড ধূলোবালির কারণে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে সকলের চরম বেগ পেতে হয়। এই রাস্তা কেন্দ্রিক একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই কোন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যেতে পারেনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক পথচারী বলেন, 'রাস্তার পাশে প্রভাবশালী লোকের ইটের ভাটার কারণে রাস্তার এ অবস্থা হলেও তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে পারেনা। গোপনে কিছু লোক প্রশাসনকে জানালে প্রশাসন কর্তৃক কয়েকবার পাওয়ার টিলার এবং ভেকু মেশিন জব্দ করা হলেও দু'একদিন পরবর্তীতে আবারো মাটি পরিবহনের কাজ চালু হয়ে যায়। এলাকার লোকজন যেন উক্ত ইট ভাটার মালিকের কাছে জিম্মি।'

তবে সড়কটির এই অবস্থার জন্য স্থানীয়দের অভিযোগ বরাবরই রাস্তা সংলগ্ন নূরানী ব্রিকস ফিল্ডসের প্রতি থাকার কারণে নূরানী ব্রিকফিল্ড অফিসে গেলে স্থানীয় লোকজনও এই প্রতিনিধির সাথে হাজির হয় ইটভাটার ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ জানাতে। তবে ম্যানেজার নিজেদের দোষ সামান্য বলে মনে করেন। তিনি তাদের ইটভটার জন্য মাটি সরবরাহকারি কন্ট্রাক্টরকেই দায়ী করেন।

তিনি বলেন, "কন্ট্রাক্টারের সাথে চুক্তি হয়েছে মাটি পরিবহনের পর রাস্তা তারা পরিষ্কার করবে। এটা তাদের দায়িত্ব হিসেবে এর দায়ভার তারা নিবে। "এদিকে মাটি সরবরাহকারী কন্ট্রাক্টরের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোনে সংযোগ করানো সম্ভব হয়নি। 

এমন পরিস্থিতিতে এলাকার লোকজন দ্রুত সড়কটি চলাচল উপযোগী করার জন্য প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল আমিন সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।

মন্তব্য করুন