
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ০৪:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
তীব্র গরমে বৃষ্টির আশায় ভোলায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শহরের বাংলাস্কুল মাঠে জাতীয় উলামায়ে মশায়েখ আম্মা পরিষদের উদ্যোগে এই নামাজ আদায় করা হয়।নামাজে ইমামতি করেন কাবিল মসজিদের খতিব মাওলানা রফিকুল ইসলাম। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়। আগামী শুক্রবার ও শনিবার একই স্থানে সকালে এ নামাজ আদায় করা হবে।
নামাজ শেষে মোনাজাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা। সেই সঙ্গে চোখের পানি ফেলে বৃষ্টির জন্য দোয়া করা হয়। এই নামাজে সাধারণ মানুষও অংশ নেয়।
নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লিরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে ভোলায় তাপদাহ চলছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। রোদে কাজ করতে গিয়ে শ্রমজীবী মানুষ হাঁপিয়ে উঠছে।
ভোলা আবহাওয়া পযাবেক্ষনাগারের ইনচার্জ মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, ভোলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ দুপুরে সর্বনিম্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা উত্তর শাখার সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান মোনতাজী বলেন, আমরা এই তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করে এই নামাজ আদায় করেছি। ওলামা-মা মাসায়েক আয়েম্মা পরিষদ পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা তাজউদ্দীন ফারুকী বলেন, সারাদেশে যেভাবে প্রচণ্ড গরম পড়ছে সেজন্য আমরা সকলকে নিয়ে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছি। যাতে করে আল্লাহ তাআলা আমাদের উপর রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করে। ওলামা মাসকয়েক পরিষোধ ভোলা জেলা উত্তর এর যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা আকতার হোসেন ভুইয়া জানান সরকারি দপ্তর থেকে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে জনজীবনে দুর্বিষহ অবস্থা এমত অবস্থায় নবীজির সুন্নত অনুসারে বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসতিসকার আয়োজন করা হয়েছে নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করা হয়েছে যেনো এই অবস্থার পরিবর্তন করেন।
কয়েক দিনের টানা তাপদাহে পুড়ছে রাজধানীসহ সারা দেশ। আর এই তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়। ইসলামী আন্দোলন জেলা সেক্রেটারি, মাওলানা তরিকুল ইসলাম তারেক বলেন আমরা সালাতুল ইস্তেস্কা নামাজ আদায় করেছি ইনশাল্লাহ আল্লাহতালার পক্ষ থেকে ভালো একটি ফয়সালা হবে।
নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এ ছাড়াও সদর উপজেলার ইলিশার মৌলভীরহাট মাদ্রাসার মাঠ ও চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট ফাজিল মাদরাসার মাঠসহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
মন্তব্য করুন