
প্রকাশিত: ৬ মে, ২০২৪, ১১:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে কালবৈশাখী ঝড়ে অনেক ঘর-বাড়ি ভাংচুর হয়েছে এবং গাছপালা গিয়ে পরেছ বিদ্যুৎতের তারে, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। ফসলি জমি ও বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
রবিবার (৫ মে) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড় ও বৃষ্টির তান্ডবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘর বাড়ি ভাংচুর ও গাছপালা ও ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এর মধ্যে উপজেলার গোয়ালনগর, অলিপুর, আউলিয়াবাজারসহ কয়েকটি গ্রামের বাড়িঘর ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়। তবে এতে কারও হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে পাকা ধান ক্ষেত ও লিচু ও আম বাগানে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উপজেলার সবগুলো গ্রামে এক সময়ে ঝড় হলেও ঝড়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আউলিয়াবাজারে আশে পাশে বাড়ি ঘর ও দোকানের। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গোয়ালনগর এলাকায় বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা, পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নাসিমা মুকাই আলীর স্বামী লুৎফর রহমান কয়েকটি স্থান পরিদর্শন সহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের খোঁজ খবর নিতে রাত ১০ টার দিকে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে যান।
পাহাড়পুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার রাত সাড়ে ৮ টায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এতে করে ঘর-বাড়ি ভাংচুর, মৌসুমী ফল আম, লিচু ও ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং গাছপালা ভেঙ্গে বিদ্যুৎ লাইনের মারাত্নক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গোয়ালনগর এলাকার এক বাসিন্দা জানান, ঝড়ে তাদের গ্রাম ও আশপাশের গ্রামের কিছু ঘর বাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়েছে। কারও কোটা ও টিনের ঘরের চাল উড়িয়ে নিচে পড়েছে। গাছপালা উপড়ে গিয়ে ঘরের উপরে পরেছে।
চানপুর গ্রামের একজন কৃষক জানান, আমার ৩ কানী জমির ধান অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে।
পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঝড়ের কারণে মৌসুমি ফল আম, লিচু, লটক বাগান ও বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে এবং সহযোগিতা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন