
প্রকাশিত: ৯ মে, ২০২৪, ০৫:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
লিচু একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল যার রুক্ষ, গাঢ় গোলাপী, চামড়ার খোসা থাকে এবং ভেতরটা রসালো সাদা। এটি চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থানীয় ফল। লিচু গাছ সাধারণত এর ফুলের গন্ধের জন্য পরিচিত। জুস, স্মুদি, ওয়াইন এমনকি আইসক্রিম তৈরিতেও লিচুর বহুল জনপ্রিয়তা রয়েছে।
লিচু মন্ত্রমুগ্ধ স্বাদের অধিকারী। এটি কখনো মিষ্টি এবং কখনো কখনো টক হয়ে থাকে। এছাড়াও লিচু প্রয়োজনীয় ভিটামিন,খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে। সুতরাং, লিচু স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য খুব উপকারী। একজন স্বাস্থ্য সচেতন হিসেবে আপনার খাদ্য তালিকায় লিচু রাখতেই পারেন।
আজ আমরা লিচুর উপকারিতা এবং এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সমস্ত কিছু জানব।
লিচুর পুষ্টিগুণ:
গ্রীষ্মের ফলের মধ্যে লিচু শিশু থেকে বয়স্ক সবারই পছন্দের। স্বাদের পাশাপাশি এই ফলটি গুণেও অনন্য। লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে।
এছাড়াও লিচুতে যে সব খাদ্য উপাদান রয়েছে -
চর্বি - ০.৪ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট - ১৬.৫ গ্রাম
ফাইবার - ১.৩ গ্রাম
প্রোটিন - ০.৪ গ্রাম
চিনি - ১৫.২ গ্রাম
ক্যালোরি - ৬৬
লিচু খাওয়ার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন-
১. লিচু রক্ত উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির একটি সমৃদ্ধ উৎস। এটি শরীরে ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, আয়রন এবং ফোলেট সরবরাহ করে যা রক্তের লোহিতকণিকা গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়।
২. লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার এবং ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স থাকে যা বিপাকে সহায়তা করে।
৩. লিচুতে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি বার্ধক্য প্রতিরোধে কার্যকর।
৪. লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে, যা রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বজায় রাখতে প্রয়োজন।
৫. লিচুতে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে । ফলে স্ট্রোক এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।
এছাড়াও এতে থাকা ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, কপার এবং ফোলেটের মতো খনিজ উপাদান রক্তচাপ কমাতে ভূমিকা রাখে।
সাবধানতা:
তবে পুষ্টিবিদদের মতে, শুধু ডায়াবেটিস রোগীই নয়, একজন সুস্থ মানুষেরও বেশি লিচু খাওয়া উচিত নয়। এছাড়াও খাওয়ার পর ও ঘুমানোর আগে ফল খাওয়া উচিত নয়। কারণ, এতে রক্তে শর্করার মাত্রা অতিমাত্রায় বেড়ে যেতে পারে।
মন্তব্য করুন