দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩ মে, ২০২৪, ০৫:৩৫ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

দীঘিনালায় বাণিজ্যিকভাবে তেঁতুল চাষের প্রচুর সম্ভবনা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পাহাড়ে এক সময় প্রাকৃতিক ভাবে তেঁতুল গাছ জন্মাতো হাট-বাজারের বিক্রয় করা হত না বর্তমানে তেঁতুলের প্রচুর চাহিদা বাড়ছে। খাগড়াছড়ি দীঘিনালার স্থানীয় টক-মিষ্টি তেঁতুল সমতলে চাহিদা বেশী। বর্তমানের বাণিজ্যিকভাবে বাগান চাষিরা উন্নত মানে থাই তেঁতুল চাষ করে। থাই জাতের তেঁতুল উৎপাদন বেশি ও স্বাদে মিষ্টি হওয়া এর চাহিদা বেশি। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পাইকারী ব্যবসায়ীরা তেঁতুল ক্রয় করে সমতলের চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা জেলায় নিয়ে বিক্রয় করছে। এতে চাষীরা তাদের উৎপাদিত তেঁতুল বেশি দামে বিক্রয় করতে পারছে। অপরদিকে ব্যবসায়ীরা সমতলে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে।

তেঁতুল পাইকারী ক্রেতা মো: নাছির বলেন, আগে তেঁতুল উৎপাদন কম হত, এখন অনেকে তেতুল বাগান করেছে। তাই বাজারের প্রচুর তেঁতুল পাওয়া যায়। বাজারের দুই ধরনে তেঁতুল পাওয়া যায় টক-আর মিষ্টি। ৬০-৭০টাকা কেজি পাইকারি কিনে সমতলের চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা নিয়ে আড়তদারের কাছে বিক্রয় করি।

চাপ্পাপড়া এলাকা থেকে তেঁতুল বিক্রয় করতে ধনজয় ত্রিপুরা বলেন, আগে আমার তেঁতুল বিক্রয় করতাম না গাছে নষ্ট হত, এখন তেঁতুলের চাহিদা বেশি ৬০-৭০টাকা কেজি পাইকারী বিক্রয় করতে পারি। আমরা এখন মিষ্ট তেঁতুলে বাগান করছি।

কবাখালী ইউনিয়নের উত্তর মিলনপুর এলাকার মো: ইব্রাহিম বলেন, আমাদের বাড়িতে দুইটি তেঁতুল গাছ আছে। আগে তেঁতুল বিক্রয় হত না, এখন ৮০-১০০টাকা কেজি বিক্রয় করা যায়। তেঁতুলের এখন অনেক চাহিদা রয়েছে। পাইকারী ব্যবসায়ীরা এখন বাড়িতে এসে তেঁতুল নিয়ে যায়।

দীঘিনালা কৃষি কর্মকর্তা মো: শাহাদাৎ হোসেন বলেন, সারা দেশে তেঁতুলগাছ প্রায় কমে গেছে। পহাড়ে এখন প্রচুর তেঁতুল রয়েছে। মিশ্র বাগানের সাথে মিষ্টি জাতের তেঁতুল চাষ করছে। বর্তমানে বাজারের তেঁতুলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। পাইকারেরও স্থানীয় বাজার থেকে তেঁতুল ক্রয় করে সমতলে নিয়ে বিক্রয় করছে। পাহাড়ের মাটি তেঁতুল চাষের জন্য উপযোগী। তবে বাণিজ্যিকভাবে তেঁতুল বাগান করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরামর্শ প্রদান করা হবে।

মন্তব্য করুন