মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩ মে, ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

মাধবপুর নামেই পৌরসভা, নেই কোন নিজস্ব ভবন

ছবি সংগৃহীত

মাধবপুর পৌরসভার ২৭ বছর পেড়িয়ে গেলেও এখনও নিজস্ব ভবন নেই। সাবেক উপজেলা আদালত ভবনে সরকারি কক্ষে মাধবপুর পৌরসভার কার্যক্রম চলছে। এত বছর হলেও মাধবপুর পৌরসভার নাগরিকের শহরের জীবনের তেমন কোন ছোয়া লাগেনি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই বললেই চলে। শহরের চার পাশে ময়লা আর্বজনা ভরে রয়েছে। স্থানীয় পৌর নাগরিকরা জানান, পৌরসভার বেশির ভাগ রাস্তা কাচা অবস্থায় রয়েছে। রায় পাড়ার একটি রাস্তা বর্ষা এলেই পানির তলে তলিয়ে যায়। এটি উচু করে পাকা করার জন্য আবেদন নিবেদন করেও কোন ফল হয়নি। ঘরে ঘরে বিশুদ্ধ পানির সরবরাহের কোন ব্যবস্থা নেই। ৪ বছর আগে নতুন গরুর বাজারে পানি সরবরাহের জন্য স্থাপনা নির্মাণ করা হলেও এটি চালু করা সম্ভব হয়নি। পৌরসভার ভবন নির্মাণের জন্য ষ্টেডিয়ামের পূর্বপাশে ৫ বছর আগে জমি দেখা হলেও এখন পর্যন্ত নিজস্ব কোন ভবন করা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা আদালত ভবনে সরকারি কক্ষে কোন রকম সেবা কার্যক্রম চলছে। পৌরসভার নিজস্ব সভা কক্ষ, মেয়র কাউন্সিলর এবয় পৌর কর্মকর্তা কর্মচারিদের নেই নিজস্ব ভবন। পৌরসভার নাগরিকদের পৌর ভবনে বসার নিজস্ব স্থান নেই। ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য এখন পর্যন্ত নিদিষ্ট ময়লা রাখার স্থান গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। পৌরসভার বর্জ্য ময়লা ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে কলেজের সামনে ফেলে রাখায় র্দূগন্ধে মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। মাধবপুর সোনাই নদীর উত্তর তীরে গড়ে উঠেছে মাধবপুর পৌরসভা। কিন্তু পৌরসভার ময়লা আর্বজনার নদীর আজ মরতে বসেছে। মাধবপুর পৌরসভার নিজস্ব ৩ চাকা যানবাহনের কোন ষ্ট্যান্ড না থাকায় সারা শহর জুড়ে ৩ চাকার যানবাহন এলোপাতাড়ি চলাচল করে এতে পৌরশহরের বাজারে যানঝট লেগে থাকে সব সময়। স্থানীয় পৌর নাগরিক

বিল্লাল হোসেন খান জানায়, ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার প্রচেষ্টায় মাধবপুর পৌরসভার যাত্রা শুরু হয়। ২০১১ সালে প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হিসেবে মর্যাদা লাভ করে। মাধবপুর পৌরসভার নিজস্ব ভবন করার জন্য সাবেক পৌর মেয়র হিরেন্দ্র লাল সাহা মাধবপুর ষ্টেডিয়ামের পাশে উপজেলা পরিষদ থেকে জমি ক্রয় করেন। কিন্তু মামলা জটিলতায় ওই জায়গায় ভবন নির্মাণ কাজ স্থগিত হয়ে পড়ে। এর পর থেকে ভবন নির্মাণ করার জন্য আর কোন চেষ্টা করা হচ্ছেনা। মাধবপুর উপজেলা পরিষদের সীমানার মধ্যে এরশাদ সরকারের আমলে উপজেলা আদালত ভবনে কয়েকটি কক্ষে পৌরসভার কার্যক্রম চলছে। আদালত ভবনের ছোট কক্ষে প্রায় ১০০ জন কর্মকর্তা কর্মচারীদের ঠাই হচেছনা।

মাধবপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান জানান, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মাধবপুর পৌরসভার সার্বিক উন্নয়ন ও নাগরিক সেবা দিতে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছি। একটি মহল ইচ্ছাকৃত ভাবে ভবন নির্মাণে মামলা করে দেওয়ায় ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। মামলা নিষ্পত্তি হলে পৌরসভার নিজস্ব ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হবে।

মন্তব্য করুন