
প্রকাশিত: ১৮ মে, ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
দ্বিতীয় ধাপে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২১ মে। ইতিমধ্যে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তবে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের (পোলিং অফিসার) নামের তালিকায় রয়েছেন হত্যা মামলার আসামি ও বিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়া এক শিক্ষক।
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম, সাজিদ হাসান। তিনি গাড়াকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে হাজতবাস করেন। বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন। তার বাড়ি নারুয়া ইউনিয়নের কোনাগ্রামে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন- আবুল কালাম আজাদ (আনারস প্রতীক) ও এহসানুল হাকিম ওরফে সাধন (মোটরসাইকেল প্রতীক)। আবুল কালাম আজাদ বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। এহসানুল হাকিম সাধন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এহসানুল হাকিমের আপন চাচাতো ভাই রেলমন্ত্রী ও রাজবাড়ী-২ আসনের (পাংশা, বালিয়াকান্দি ও কালুখালী) সংসদ সদস্য। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা (পোলিং অফিসার) হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। পোলিং অফিসারদের নামের তালিকায় ৩৫০ নম্বরে সাজিদ হাসানের নাম রয়েছে। ১৪ মে বালিয়াকান্দি পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয়তলায় সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
গাড়াকোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসমে আরা বেগম বলেন, গতবছর ওই শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে তিনি এখন জামিনে আছেন। তাকে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে হাজির হতে হয়। কিন্তু শ্রেণিপাঠ কার্যক্রমে অংশ নিতে পারেন না। শিক্ষকের নিয়মিত হাজিরা খাতায়ও তিনি সই করেন না। ওই শিক্ষকের জন্য আলাদা একটি হাজিরা খাতা তৈরি করা হয়েছে।
সাজিদ হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে আবারও তার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তিনি ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, পোলিং অফিসারদের নাম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের কাছে চাওয়া হয়েছিল। তাদের উচিত ছিল সাময়িকভাবে বরখাস্ত কোনো শিক্ষকের নাম তালিকায় না দেওয়া। বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। ওই শিক্ষকের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন