রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২২ মে, ২০২৪, ০৭:৪৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ইন্টারপোলের ওয়ান্টেড আসামি ছিলেন এমপি আনার

ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার কিছুদিন আগেই চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলেন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন এই এমপি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর  আজ বুধবার তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

কলকাতার বিধাননগরের নিউটাউনে সঞ্জিভা গার্ডেন্সের একটি ফ্ল্যাটে এমপিকে হত্যা করা হয়। তবে ওই ফ্ল্যাট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি কলকাতা পুলিশ। একটি সূত্র বলছে, ফ্ল্যাটে  মরদেহ টুকরো টুকরো করে ৪টি ট্রলি ব্যাগে করে গায়েব করা হয়েছে। পুলিশ বর্তমানে সেই ব্যাগগুলোর সন্ধান করছে।

এমপি আনারকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। রহস্য দেখা দিয়েছে তার মৃত্যু ঘিরে। উঠছে নানা প্রশ্নও। তবে সব প্রশ্নের ভিড়ে একটি বিষয় সবাই জানতে চায়। কে এই এমপি আনার, তাকে ঘিরে এতো আলোচনা কেন?

আনোয়ারুল আজিম আনারের পৈতৃক বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মধুগঞ্জ বাজার এলাকায়। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা তিনবার আওয়ামী লীগ থেকে তিনি এমপি নির্বাচিত হন।

স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, এক সময়ের দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের চরমপন্থিদের নিয়ন্ত্রণ করতেন আনার। অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাচারের হোতা হিসেবেও পুলিশের খাতায় নাম ছিল তার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও চরমপন্থিদের গডফাদার হিসেবে পরিচিতি পান।

আনারের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিস্ফোরক, মাদকদ্রব্য ও স্বর্ণ চোরাচালান, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি এবং চরমপন্থিদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ৯টির বেশি মামলা ছিল। তবে স্থানীয় কেই কেউ বলছেন, তার নামে ছিল দুই ডজনের বেশি মামলা।

ইন্টারপোল বা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশনের (ইন্টারপোল) ওয়ান্টেড আসামি ছিলেন এমপি আনার। পরে ইন্টারপোলের নটিশ পেয়ে পুলিশ একবার তাকে আটক করে। তবে তার ক্যাডার বাহিনী পুলিশের ওপর আক্রমণ করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে যৌথ বাহিনীর অপারেশনের সময় আত্মগোপনে ছিলেন আনার।

মন্তব্য করুন