
প্রকাশিত: ২৫ জুন, ২০২৪, ০২:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
মানিকগঞ্জের সদর উপজেলা জিওবি মেইনটেনেন্সে রাস্তার রিপেয়ারিং এর কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে।
এলজিইডি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ঢাকা আরিচা এনসি কালীয়ানি গড়পাড়া ইউপি ভায়া ডাউটিয়া বাজার ৪ কিলোমিটার (জিওবি মেইনটেনেন্সে) রাস্তার রিপেয়ারিং এর কাজ পায় মেসার্স শাহিন ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। রাস্তা রিপেয়ারিং এর বাজেট ছিলো ৫৭ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা। কাজের মেয়াদ কাল শেষ হয় ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে।
তবে কোনমতে কাজ সম্পন্ন করেও তা শেষ দেখাতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। কাজের মেয়াদ কাল শেষ হলেও কাজ বাকি ৪ কিলোমিটারের বিভিন্ন স্থানে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কোন মতে কাজ শেষ করে ঠিকাদাররা । তারা অল্প কিছুদিন কাজ করে চলে যায়। বেশিরভাগ জায়গাতেই ভাঙ্গা রয়েছে । এগুলো ঠিক না করায় অনেক অসুবিধা হচ্ছে । কি কাজ করেছে তা কিছুই বুঝতে পারছি না! কোনোরকম কাজ করেই তারা চলে গেছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরো রাস্তা জুড়ে অধিকাংশ জায়গায় খানাখন্দর ও ভাঙা অংশে যানবাহন ভোগান্তি নিয়ে চলাফেরা করছে। কিছু জায়গার ভাঙা অংশে রয়েছে সেখানে মাটি ফেলা হয়েছে। তবে বৃষ্টি হলে সেই সব স্থানে কাদা হয়ে চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
স্থানীয় কৃষক বক্কর আলী বলেন, এ রাস্তা অনেকদিন আগে কাজ করে গেছে । কি কাজ করছে রাস্তা তো ঠিকই হয় নাই। কৃষি পণ্য নেয়াতে অনেক ঝামেলা হয়।
অটো রিক্সাচালক জসিম বলেন, এ রাস্তায় গাড়ি চালাতে অনেক অসুবিধা হয় । রোগী নিয়ে যেতে হয় মাঝেমধ্যে তাদের অনেক কষ্ট হয়। মাঝেমধ্যে রাস্তার কারণে দুর্ঘটনাও ঘটে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, ঠিকাদার ও প্রকৌশলীরা কিভাবে কাজ করছে জানা নাই তবে মনে হল কোন মতে কাজ শেষ করে চলে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় এখনো ভাঙ্গা রয়েছে। কিছু জায়গায় নাম মাত্রে ঠিক করেছে। এখানে যে মাটি ফেলেছে তাও সেখানে আমরা অনেকেই চাঁদা দিয়ে ইউপি সদস্যকে দিয়ে মাটি ফেলেছি । ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এখানে মাটি ফেলে নাই।
দিঘী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আরিফুর রহমান বলেন, আমরা এই রাস্তার বিষয়ে আগে থেকেই ভুক্তভোগী । রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় আগে থেকেই ভাঙ্গা ছিলো। উনারা কিছু কিছু জায়গায় সারছে আবার কিছু কিছু জায়গায় সারে নাই । আমরা তাদের বলেছিলাম তারা বলেছে এই রাস্তা চওড়া হবে। তবে এখন হবে না পরে হবে । এভাবে বলেই তারা কাজ শেষ করে চলে গেছে ।
এবিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স শাহিন ট্রেডার্স এর কেউই কোনো বক্তব্য দিতে চায়নি।
তবে এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ মিজানুর রহমান রাস্তার কাজে কোন নিয়ম হয়নি বলে, কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি এবং তিনি জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।
এবিষয়ে এলজিইডি মানিকগঞ্জ এর নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম খোরশেদ আলম বলেন, আমরা এগুলো যাচাই করবো, কোনো অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
মন্তব্য করুন