ময়মনসিংহ ব্যুরো

প্রকাশিত: ৫ জুলাই, ২০২৪, ০৬:৪৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ত্রিশালে কচুরলতির বাম্পার ফলন, স্বাবলম্বী অনেক কৃষক

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কচুর লতি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার অনেক প্রান্তিক চাষিরা। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লতির চাহিদা থাকায় বিক্রি হয় প্রচুর। অল্প পরিশ্রমে লাভজনক হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা জমিতে কচুর লতি চাষ করছেন। বর্তমানে লতি চাষে ব্যাপক আলোচিত উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের গফাঁকুড়ি ও সাখুয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম। এই দুই ইউনিয়নের কৃষকরা দীর্ঘদিন যাবত লতি চাষ করে আসছেন। দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এ সব এলাকায় কচুর লতি চাষ।

জানা গেছে, কৃষকরা কয়েক বছর আগে কচুর লতি চাষ করে কোনরকম চলতো তাদের সংসার। এখন কৃষকরা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি বিক্রি করছেন। ঢাকার কাওরান বাজার, টঙ্গীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে এই লতি। স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে লতি চাষিরা তাদের ফসলি জমিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে দেখা গেছে।

স্থানীয় রফিকুল ইসলাম জানান, আমি কয়েক বছর ধরে কচুর লতি চাষ করি। ধানের থেকে লতি চাষ লাভজনক হওয়ায় লতি চাষ করেছি। এক সপ্তাহ পর পর পাঁচ ছয় হাজার টাকার লতি বিক্রি করতে পারি। এছাড়াও গফাঁকুড়ি ঠাকুরবাড়ি মোড়ে এলাকার অনেক লতির ব্যাপারীরা কৃষকদের কাছ থেকে লতি কিনে প্রসেসিং করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যান।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুভাষ মন্ডল জানান, ত্রিশালের মাটি কচুর লতি চাষের জন্য উপযোগী। আর এখানকার কৃষকরাও উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ মেনে লতি চাষ করায় তারা লাভবান হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া রহমান জানান, আমরা আধুনিক পদ্ধতিতে কচুর লতি চাষে কৃষকদের পরামর্শ ও উদ্বুদ্ধ করছি। এছাড়াও কন্দাল জাতীয় ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় লতি কচুর ভেজিটেবল গ্রেডিং শেড নির্মাণ করা হয়েছে।

 

মন্তব্য করুন