
প্রকাশিত: ৮ জুলাই, ২০২৪, ০৭:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সাপ থেকে বাঁচতে বাড়ির চারদিকে জাল দিয়ে বেড়া দিচ্ছিলেন মাদারীপুরের যুবক মমিন শেখ। এ সময় সাপে কামড় দেয়। পরে তিনি ও তার ছেলে মিলে সাপটিকে মেরে শিবচর হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি হন।
একই দিন রাতে স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক যুবককে বিষধর সাপে কামড় দেয়। পুলিশের সহযোগিতায় আশংকাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হলে এন্টিভেনম দেওয়ার পর এখন সুস্থ রয়েছেন।
গত রবিবার সন্ধ্যায় ও রাতে শিবচরের পদ্মার চরাঞ্চলে সাপে কামড় দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এর আগে গত সপ্তাহে একই ইউনিয়নের আরেক কৃষক সুলতান বেপারিকে সাপে কামড় দেওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন।
হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বর্ষা মৌসুমে শিবচরের পদ্মা নদীর চরাঞ্চল চরজানাজাত ইউনিয়নে সাপের উপদ্রব বাড়ায় চর ২ নম্বর ওয়ার্ডের আজিজ শেখের ছেলে মমিন শেখ বাড়ির চারদিক জাল দিয়ে বেড়া দেয়। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি ওই বেড়া তল্লাশি করার সময় হাতে আঘাত অনুভব করে। এরপর তিনি সামনে একটি সাপ দেখতে পান। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে হাতে বাধন দেন। তারপর তার ছেলেসহ সাপটিকে মেরে ফেলে। পরে সাপটিকে নিয়ে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল।
অপরদিকে একই রাত আনুমানিক ১টার দিন উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের চর শেখপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে সজিব হাওলাদার স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তার পাশ থেকে তাকে কিছু একটা কামড় দিলে তিনি বুঝতে না পেরে বাড়ি চলে যান। বাড়ি যাওয়ার পর তার অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে যান সজিব। পরে এলাকায় টহলরত পুলিশের সহায়তায় তাকে দ্রুত শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরিক্ষার পর তাকে এন্টিভেনম দেয়। এখন সে অনেকটাই সুস্থ।
মমিন শেখ বলেন, ‘চরে সাপের উপদ্রব এবার অনেক বেশি তাই বাড়ির চারদিকে বেড়া দিচ্ছিলাম। এসময় সাপে কাটে। পরে হাতে বাধন দিয়ে সাপটিকে মেরে হাসপাতালে নিয়ে আসি। শরীরটা ব্যাথা, মাথা ঘুরায়।’
সাপে দংশিত সজিব হাওলাদার বলেন, ‘কামড় দেওয়ার পর প্রথমে আমি ভেবেছিলাম হয়ত পিপড়া কামড় দিয়েছে। বাড়ি যাওয়ার পর আমি খুব অসুস্থ হয়ে যাই। একপর্যায়ে মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে গেলে পুলিশের সহযোগিতায় আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে আমাকে এন্টিভেনম দেওয়ার পর আমি কিছুটা সুস্থ আছি।’
মন্তব্য করুন