
প্রকাশিত: ৯ জুলাই, ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
নাগেশ্বরীতে চলতি বন্যায় তলিয়ে গেছে ৯৯৫ টি পুকুরের মাছ। মৎসচাষীদের ক্ষতি হয়েছে ৯৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকার।
উপজেলা মৎস অফিস জানায়, এ বন্যায় ডুবে যায় ৯৬০ জন মৎসচাষীর ৯৯৫ টি পুকুর। মৎসচাষীরা নেট জাল দিয়ে মাছ আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ভারী বৃষ্টি, উজানের ঢল, একের পর এক বাঁধ ভেঙ্গে ও উপছে যে গতিতে পানি ঢুকে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত করে এতে তাদের চেষ্টায় সফলতা আসেনি। ভেসে গেছে ৭২.৬ মে.টন মাছ ও ১ লক্ষ ৬০ হাজার মাছের পোনা। ক্ষতি হয়েছে ৯৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকার।
পৌরসভার পুর্ব সাঞ্জুয়ারভিটার আব্দুর রশিদ খোকন জানান, আর অল্প কয়েকদিন পরে মাছ তুলে বিক্রি করার কথা ছিল। এর মাঝে বন্যার পানি প্রবেশ করে পুকুরের মাছ বেরিয়ে গেছে। একই কথা জানান, আনিছুর রহমান স্বপন, কালীগঞ্জের যাদব চন্দ্র, শালমারা গ্রামের আব্দুল মজিদ, কুমেদপুরের আকবর আলী, ভবানন্দেরকুটির মমিন উদ্দিন, বামনডাঙ্গার চর লুছনির রফিকুল ইসলামসহ অনেক মৎসচাষী।
তারা জানান, প্রণোদনা না পেলে তাদের পক্ষে এ ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব।
মৎস কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন জানান, বন্যার কিছুটা উন্নতি হলেও তলিয়ে যাওয়া পুকুরগুলো থেকে বেরিয়ে গেছে মাছ। এখনো যেগুলো জাগেনি সেগুলোতে মাছের খাবারের সঙ্গে স্পা জেল মিশিয়ে পুকুরের পানিতে বিভিন্ন জায়গায় খুটির সাথে রাখার জন্য মৎসচাষীদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এতে করে এর গন্ধে পুকুরের অবশিষ্ট মাছগুলো থেকে যাবে এবং বাইরে থেকেও কিছু প্রবেশ করবে।
মন্তব্য করুন