
প্রকাশিত: ৯ জুলাই, ২০২৪, ০৯:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সোমবার(৯ জুলাই) সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহের (৯-১৬ জুলাই) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’-প্রতিপাদ্য নিয়ে বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলা শুরু হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আনুষ্ঠানিকভাবে সপ্তাহব্যাপী এই বৃক্ষ মেলার উদ্বোধন করেন। সরকারী ভাবে জেলায় পাঁচ হাজার গাছ লাগানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংরক্ষিত আসনের আরমা দত্ত এমপি, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সামাজিক বন বিভাগ, কুমিল্লার বিভাগীয় কর্মকর্তা জি এম মোহাম্মদ কবির, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ বেলায়েত হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা প্রমুখ।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হচ্ছে, গাছ লাগানোকে সামাজিক আন্দোলনে রূপান্তর করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বাংলাদেশে অনেক গাছ লাগানো হয়েছে, তবে এক্ষেত্রে ঘাটতিও রয়েছে। যেসব জমি খালি রয়েছে সেখানে বৃক্ষরোপণ করা হবে। আগামী এক বছরে আমরা পাঁচ লাখ গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষক শিক্ষারথী যারা উপস্থিত আছেন, এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাইকে সহযোগিতা করার আহবান করছি।
বাড়ি করার শর্ত নিয়ে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘বাড়ি করার জন্য যেসব শর্তের ভিত্তিতে নকশা অনুমোদন দেয়, সেখানে একটি শর্ত যুক্ত করতে বলেছি—তারা যেন বাড়ির অবশিষ্ট জায়গায় গাছ লাগায়, অন্তত ফুলের বাগান হলেও যেন করে। তাতেও বনায়নের কিছুটা কাজ হবে।
বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে অন্তত ২০ শতাংশে যেন গাছ লাগানো হয়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। ফলদ, বনজ এবং ঔষধি—যেকোনো ধরনের গাছ হতে পারে। একই সঙ্গে নিজেদের খাওয়ার উপযোগী সবজি উৎপাদন করা যেতে পারে। ঘরের বারান্দা, ছাদ বা বাড়ির আঙিনায় কাঁচামরিচ বা এ ধরনের অনেক কিছু নিজেরা আবাদ করা যায়।আমাদের মা-চাচিরা আগে এসব বাগান করে প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করতেন ।
তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমানের মত যারা ক্ষমতায় আসে তাদের কাজ গাছ কেটে শেষ করা। আমাদের কাজ গাছ লাগানো। দেশকে সবুজে পরিনত করা আমাদের লক্ষ্য।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান জেলা ও উপজেলা অধীন দপ্তর ও সংস্থায় কর্মরত এবং বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সবাইকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার আহবান জানান।
এসময় প্রধান অতিথি কৃষক ও শিক্ষার্থীদের হাতে গাছের চারা তুলে দেন। মেলায় বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা নিয়ে ১৪টি নার্সারির স্টল বসে।
মন্তব্য করুন