
প্রকাশিত: ৯ জুলাই, ২০২৪, ১০:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ গত ১২ বছরে ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) তিন কর্মকর্তা। দাবা খেলার মতো খেলোয়াড়ের ভূমিকায় ছিলেন উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারি পরিচালক মো. আলমগীর কবির এবং পিএসসি’র তারা দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করেছেন পিএসসি’র অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও ডিসপাস রাইটার সাজেদুল ইসলামকে।
পিএসসি’র চেয়ারম্যান সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জড়িত ছিলেন নগদ লেনদেন ও চাকরি প্রার্থী সংগ্রহের কাজে। সাবেক হলেও প্রশ্নফাঁসে জড়িত রয়ে গেছেন পিএসসির প্রাক্তন সহকারি পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়ও।
বিসিএসসহ পিএসসি’র অধীনে অনুষ্ঠিত অন্তত ৩০টি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর বিপিএসসি’র তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তারের পর পল্টন থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি বলছে, পিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই এই চক্রের সদস্যরা প্রশ্নপত্র ফাঁস করে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন। গত ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন তারা। চক্রের সদস্যরা ওই পরীক্ষার আগের রাতে তাদের চুক্তি করা শিক্ষার্থীদের বাসায় রেখে ওই প্রশ্নপত্র ও তার উত্তর দিয়ে দেন। তদন্তে এখন পর্যন্ত আরও অনেকের নাম সামনে এসেছে। হাইপ্রফাইল কিছু নামও পাওয়া গেছে। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে। জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
গত সোমবার রাতেই রাজধানীর পল্টন থানায় সরকারী কর্ম কমিশন আইনে মামলাটি দায়ের করেন সিআইডি’র সাইবার পুলিশ সেন্টারের সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) নিপ্পন চন্দ্র চন্দ। ওই মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গ্রেফতার ১৭ আসামিকে আজ মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারদের পরিচয় ও পেশা-
মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে সৈয়দ আবেদ আলীকে (৫২)। তার পেশা রেন্ট এ কারের। তবে তিনি দীর্ঘ দিন পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মামলায় দুই নম্বর আসামি নোমান সিদ্দিক (৪৪)। লক্ষীপুর রামগতিরের বাসিন্দা নোমান থাকতেন রাজধানীর মিরপুর-১০ সেনপাড়া পর্বতা এলাকায়। তার পেশা পোশাক কারখানার। তিন নম্বর আসামি খলিলুর রহমান (৩৮)। তিনি পিএসসির ডেসপাস রাইটার। ৪ নম্বর আসামি মো. সাজেদুল ইসলাম (৪১)। রিনি পিএসসির অফিস সহায়ক। ৫ নম্বর আসামি মিরপুর ইসিবি চত্বরের ডেভেলপার ব্যবসায়ী আবু সোলেমান মো. সোহেল (৩৫)।
মামলায় ৬ নম্বর আসামি পিএসসির উপ-পরিচালক (সিলেট) জাহাঙ্গীর আলম (৫৮)। ৭ নম্বর আসামি পিএসসির সহকারি পরিচালক এসএম আলমগীর কবীর (৪৯)। ৮ নম্বর আসামি গাজীপুর সেনানিবাসের অডিটর প্রিয়নাথ রায় (৫১)। ৯ নম্বর আসামি মিরপুরের জাহিদুল ইসলাম (২৭)। ১০ নম্বর আসামি পিএসসি’র উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর (৫৭)।
এছাড়াও বাকি আসামিরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিসিয়ান মো. নিয়ামুল হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন ও ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিটন সরকার এবং সৈয়দ আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম।
এখনও পলাতক যারা-
পিএসসির সাবেক সহকারি পরিচালক নিখিল চন্দ্র রায়, শরীফুল ইসলাম ভূইয়া, দীপক বনিক, খোরশেদ আলম খোকন, কাজী মো. সুমন, এ কে এম গোলাম পারভেজ, মেহেদী হাসান খান, গোলাম হামিদুর রহমান, মুহা. মিজানুর রহমান, আতিকুল ইসলাম, এটিএম মোস্তফা, মাহফুজ কালু, আসলাম ও কৌশিক দেবনাথ।
সিআইডি জানায়, গত ৬ জুলাই নিয়মিত সাইবার মনিটরিং করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিআইডি জানতে পারে, গ্রেফতার ১৭ আসামি ও পলাতক আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০/৬০ জন আসামি গত ৫ জুলাই পিএসসি কর্তৃক আয়োজিত রেলওয়ের সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের (নন ক্যাডার) নিয়োগ পরীক্ষার হুবহু প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরীক্ষার নির্ধারিত সময়ের আগে একদল নিয়োগ প্রার্থী পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তর বিতরণ করে।
যেভাবে সিআইডির অভিযানের শুরু-
গোপন সংবাদ ও প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, বসুন্ধরাসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থানের তথ্য পায় সিআইডি। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতিতে প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে একাধিক দল নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে সিআইডি। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে লিটন সরকারকে রাজধানীর শ্যামলী এলাকা থেকে গত ৭ জুলাই রাতে আটক করা হয়।
লিটন জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডিকে জানায়, তার সহযোগী প্রিয়নাথ ও জাহিদের কাছ থেকে তিনি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পেতেন। প্রশ্ন ও উত্তরের বিনিময়ে গ্রেপ্তার লিটন অভিযুক্ত প্রিয়নাথ ও জাহিদকে নিদিষ্ট হারে অর্থ প্রদান করেন। এরপর মহাখালী এসকেএস টাওয়ারের ফুড ভিলা হোটেল থেকে প্রিয়নাথ রায়কে ওই রাতেই আটক করা হয়। প্রিয়নাথ জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তিনি অভিযুক্ত জাহিদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র পেতেন। প্রশ্ন ও উত্তরের বিনিময়ে তিনিও নিদিষ্ট পরিমাণে টাকা জাহিদুল ইসলামকে প্রদান করতেন।
প্রিয়নাথ রায়কে আটকের পর ওই রাতেই জাহিদুল ইসলামকে শ্যামলী এলাকা থেকে আটক করে সিআইডি। অভিযুক্ত জাহিদ জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, রংপুর জেলার জনৈক সুমনের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র জোগাড় করতেন তিনি। জাহিদ নিজে যে পরিমাণ টাকা গ্রহণ করতো তার একটা বড় অংশ সুমনকে দিতো। এরপর চক্রের সক্রিয় সদস্য নোমান সিদ্দীকীকে রাজধানীর মিরপুর-১০ এলাকার নিজ ফ্ল্যাট থেকে আটক করা হয়। প্রশ্নফাঁসে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন সোমান। তার প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে আটক করা হয় পিএসসির উপ-পরিচালক (সিলেট) জাহাঙ্গীর আলমকে। এরপর পর্যায়ক্রমে শাহাদাত হোসেনকে মিরপুর থেকে, শেরেবাংলা নগর এলাকা থেকে মামুন ও নিয়ামূলকে আটক করা হয়। নিয়ামুলই প্রথম জিজ্ঞাসাবাদে জানান, প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রের অন্যতম সক্রিয় সদস্য পিএসস্যার ডেসপাস রাইটার খলিলুর রহমান।
যেভাবে চক্রের মূলহোতার নাম উঠে আসে-
খলিলই গত ৫ জুলাই বাংলাদেশ রেলওয়ের সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের (নন ক্যাডার) নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দীর্ঘদিন ধরে ফাঁস করে আসছিলেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুর পীরেরবাগে অভিযান চালিয়ে খলিলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি।
খলিল জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তাকে এসব পরীক্ষার জন্য প্রার্থী সরবরাহ করতো পিএসসি'র সহকারি পরিচালক আলমগীর। আলমগীর রেলওয়ের সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের (নন ক্যাডার) নিয়োগ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দীর্ঘদিন ধরে ফাঁস করেছে। মিরপুর এলাকার সরকারি আবাসন থেকে ৮ জুলাই ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আলমগীরকে আটক করা হয়। তার কাছ থেকে তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাইয়ে চক্রের অন্যতম হোতা পিএসসির অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলামের নাম উঠে আসে।
এরপর সাজেদুল ইসলামকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডিকে সে জানায়, বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করতেন পিএসসি'র উপ-পরিচালক আবু জাফর। তার মাধ্যমে ফাঁসকৃত প্রশ্ন সংগ্রহ করতেন তিনি। এরপর সহযোগী সাখাওয়াত ও সিদ্ধেশ্বরী কলজের শিক্ষার্থী সাইম হোসেনের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চাকরিপ্রার্থী সংগ্রহ করে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় ভাড়া করা বাসা বা হোটেলে চাকরি প্রার্থীদের জড়ো করতো সাজেদুল।
নিয়োগ পরীক্ষার এক দুদিন আগে পরীক্ষার্থীদের মাঝে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের আগেই পরীক্ষার হুবহু প্রশ্নপত্র ফাঁস করে অর্থের বিনিময়ে পদের প্রশ্ন এবং প্রশ্নের উত্তর বিতরণ করতো সাজেদুল। একই কায়দায় গত ৫ জুলাই পিএসসি কর্তৃক আয়োজিত রেলওয়ের সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ পরীক্ষার জন্য নিয়ামুল পল্টন এবং খিলগাঁও এলাকার ভাড়া বাসায় নিয়ে প্রার্থীদের ডেকে পড়ানো ও পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।
যেভাবে গাড়িচালক আবেদ আলীর নাম সামনে আসে-
আটক সাজেদুলের বক্তব্যে উঠে আসে, চক্রের মূলহোতা হিসেবে পিএসসি সাবেক চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর নাম। সাজেদুল আরও জানান, সহযোগীদের মাধ্যমে চাকরি প্রত্যাশীদের সংগ্রহ করার পাশাপাশি নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে চক্রের অন্যতম সদস্য সৈয়দ আবেদ আলীর কাছে রেলওয়ের সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন এবং উত্তর বিতরণ করা হয়।
সাজেদুলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাখাওয়াত হোসেন ও সাইম হোসেনকে সাজেদুলের বর্তমান বাসা থেকে ও সৈয়দ আবেদ আলীকে রাজধানীর মধ্য পশ্চিম শেওড়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। একইসঙ্গে আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামকে জড়িত থাকার তথ্য পেয়ে আটক করে সিআইডি
সৈয়দ আবেদ আলীর বক্তব্যে উঠে আসে, আবু সোলেমান মো. সোহেল রেলওয়ের সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ পরীক্ষার জন্য প্রার্থী সরবরাহ করেছে। আর এজন্য আবেদ আলী নিজেই বুথ পরিচালনা করে। পরে সোহেলকেও আটক করা হয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, রেলওয়ের সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের আগেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং বিতরণ কাজে জড়িত ছিলেন পলাতক ১৪ আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০/৬০ জন। আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র হিসেবে গত বছরগুলোর বিসিএসসহ পিএসসির বিভিন্ন গ্রেডের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের আগে পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত।
সিআইডির তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রশ্নফাঁসে পিএসসির অভিযুক্ত পিএসসি’র উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর, জাফর ও সহকারি পরিচালক আলমগীর নিজেরা প্রশ্ন ফাঁস করতেন। এরপর অফিস সহকারী সাজেদুল, পিএসসির ডেসপাস রাইটার খলিলদের মাধ্যমে প্রার্থী সরবরাহ করে ফাঁসকৃত প্রশ্ন সরবরাহ করা হতো। বাসায় ডেকে প্রার্থীদের তা পড়ানো হতো। নেয়া হতো মোটা অংকের টাকা। এখানে সৈয়দ আবেদ আলী লেনদেন ও প্রশ্নফাঁসের বুথ পরিচালনা করতেন।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত তদন্তে আরও অনেকের নাম পেয়েছি। হাইপ্রফাইল কিছু নামও সামনে আসছে। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে।
সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের (সিপিসি) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, মামলায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাবেক পিএসসি চেয়ারম্যানের গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ সাতজন দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তারদের থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত নিয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। এ চক্রের সঙ্গে আরু যারা জড়িত রয়েছে প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন