
প্রকাশিত: ১০ জুলাই, ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সরকারি চাকরির সব গ্রেড অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি সংস্কার করার এক দফা দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১০জুলাই) বেলা সাড়ে ১২ টায় নগরীর বিহাস মোড়ে বাইপাস মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘মেধা না কোটা? মেধা- মেধা’, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না, আর না’, কোটার বিরুদ্ধে -লড়াই হবে একসাথে’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা ১১টা বাজতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ থেকে একত্রে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপস্থিত হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। ১২টা বাজতেই এ উপস্থিতি প্রায় ২ হাজারের ঘরে পৌঁছে যায়। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়। বেলা সোয়া ১২টায় যোগ দেয় রুয়েটের কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীরা। এদিকে হাইকোর্ট থেকে ইতিবাচক ফল না আসায় রাজশাহীর শীর্ষ দুই প্রতিষ্ঠানের আন্দোলনের সমন্বয়করা সিদ্ধান্ত নেন বিহাস মোড় অবরোধ করবেন। পরে বেলা সাড়ে ১২ টায় এদিকে অগ্রসর হয় কোটা বিরোধীরা। বেলা আনুমানিক ১টার দিকে বিহাস মোড় অবরোধ করলে মুহুর্তেই ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-চাপাইনবাবগঞ্জ, ঢাকা-নওগাঁ রুটে চলাচল করা গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী রেজওয়ান গাজী মহারাজ বলেন, আদিবাসীরাও অনেক এগিয়ে গেছে। তারাও অনেক ভালো ভালো চাকরি করছে আমরা কোনোভাবেই তাদেরকে অনগ্রসর জাতি বলতে পারি না। আবার মেয়েদেরকে অনগ্রসর বলা হচ্ছে। তারা কেনো এটা বলে এটা আমার মাথায় আসে না। আমরা আগামী দিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও রুয়েটের সাথে একত্রিত হয়ে আন্দোলনে নামবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী উর্বশী সাহা বলেন, আমরা দেখেছি আজকের রায় এক মাস পিছিয়ে দিয়েছে। আমরা তো এক মাস পিছানোর কথা বলিনি। আমরা সারাজীবনের জন্য একটি যুক্তিযুক্ত কোটা সংস্কারের দাবি জানিয়েছি। আমরা চাই অনোগ্রসর মানুষদের জন্য ২ শতাংশের বেশি কোটা নয় এবং মুক্তি যোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্য আজকে সড়ক অবরোধ করেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।
এসময় রাবি ও রুয়েটের বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের প্রায় তিন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।
মন্তব্য করুন