
প্রকাশিত: ১০ জুলাই, ২০২৪, ০৭:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজারের রামুর রশিদনগরে রেললাইনের পাশে গত ৬ জুলাই হাত পা বাঁধা অবস্থায় আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বন্ধু ও ব্যবসায়ীক পার্টনার মোহাম্মদ শাহেদ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বুধবার দুপুরে কক্সবাজার র্যাব-১৫ সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫ এর উপ- অধিনায়ক মেজর শরিফুল আহসান এ তথ্য জানান।
ধৃত শাহেদের বাড়ি কক্সবাজার শহরের ঝাউতলা এলাকায়। মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার সদরের লিংকরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। লিংকরোডে ভিশন ইলেক্ট্রনিকস নামে একটি যৌথ ব্যবসা রয়েছে তাদের।
র্যাবের দাবী, মামুনের মোবাইলে শাহেদের প্রেমিকার সাথে থাকা আপত্তিকর ভিডিও এবং ছবি দিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে বন্ধুকে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে খুনি দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন তিনি।
শাহেদের স্বীকারোক্তির উদ্বৃতির তথ্যমতে, শাহেদের সাথে ঈদগাঁও এলাকার এক নারীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। ওই নারীকে মামুনও পছন্দ করতো। প্রেমের সম্পর্ক চলাকালীন প্রেমিকার সাথে শাহেদ তার নিজের মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি ধারণ করে। কিন্তু এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেলে ওই নারী দাবী করে বসেন, ছবি ও ভিডিওগুলো ডিলেট করে দেওয়ার। কিন্তু শাহেদ সেগুলো ডিলেট করে দেওয়ার আগে বন্ধু ও ব্যবসায়ীক পার্টনার মামুনের মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়। পরে মামুনের কাছ থেকে ওই ভিডিওগুলো ফেরত চাইলে শাহেদকে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এই বিরোধের জেরে দীর্ঘদিন পর পরিকল্পিতভাবে মামুনকে মোটরসাইকেলে করে ঈদগাঁও’র কালিরছড়া নিয়ে গিয়ে ভাড়াটে খুনির হাতে তুলে দেয়। তারা মামুনকে হত্যা করে রশিদনগরের রেললাইনের পাশে ফেলে দেয়। এঘটনার পর ঘাতক শাহেদ স্বাভাবিক ভাবে দাফন কাপন-জানাজায় অংশগ্রহণ সহ সবকিছুই নিহত আবদুল্লাহ আল মামুনের পরিবারের সদস্যদের সাথে অংশ নেয়।
এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় র্যাব।
মন্তব্য করুন