খুলনা ব্যুরো

প্রকাশিত: ১২ জুলাই, ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

খুলনায় ভারী বর্ষণে তলিয়েছে নগরীর সড়ক

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ভারী বর্ষণে তলিয়েছে খুলনা মহানগরীর রাস্তা-ঘাট ও বসতঘর। আজ (শুক্রবার)  সকালের থেকে বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এরপর থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ভারী বর্ষণে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষ।

নগরবাসীর অভিযোগ, কিছুটা ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে নগরীর নিম্নাঞ্চল। প্রধান সড়কগুলোয় তৈরি হচ্ছে জলজট।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, মৌসুমী বায়ুর কারণে বৃষ্টি হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা শহরে ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যারমধ্যে শুক্রবার সকাল থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজ সারাদিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন থেমে থেমে হলেও বিকালের পর ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃষ্টিতে খুলনা নগরীর খালিশপুর মুজগুন্ন, বাস্তুহারা কলোনী, হাউজিং এলাকা, ফুলবাড়ী গেট, রেলিগেট, মহেশ্বরপাশা, দৌলতপুর, নতুন রাস্তার মোড়, আলমনগর, নেভি চেকপোস্ট, রায়েরমহল, বয়রা বাজার, গল্লামারি, ময়লাপোতা, রয়েল মোড়, টুটপাড়া জোড়া কল বাজার, মহির বাড়ির খালপাড়, রূপসা ঘাট, নতুন বাজারসহ আরও কিছু এলাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ অল্প বৃষ্টিতেই নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে ১০ টা পযর্ন্ত তীব্র বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় চার ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির বিষয়টি নতুন নয়। গত কয়েক বছর ধরেই এমনটি দেখা যাচ্ছে। যেসব সড়কে উন্নয়ন কাজ চলছে সেসব সড়কে চলাচলে অতিরিক্ত দুর্ভোগে পরছে সাধারন মানুষ।

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় গত ছয় বছরে ১০৪টি ড্রেন পুনর্নির্মাণ করেছে। ময়ূর নদসহ সাতটি খাল পুনরায় খনন ও ৩২টি ড্রেনের সংস্কার চলছে। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫০২ কোটি টাকা।

খুলনা মহানগরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন’ নামে একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। প্রকল্প ব্যয় ছিল ৮২৩ কোটি টাকা। প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের অক্টোবরে। নতুন প্রকল্পে এসব ড্রেনের কাভার দেওয়ার ফলে নগরবাসী খোলা ড্রেনে আর ময়লা ফেলতে পারছে না। কিন্তু আধুনিক ময়লা পরিষ্কার করার যন্ত্র না থাকায় এসব ড্রেনের ভেতর পানির প্রবাহে বয়ে আসা পলিথিন, চিপসের প্যাকেটসহ অন্যান্য ময়লা জমে ভরাট হয়ে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে নিম্ন অঞ্চলের পানি অপসারণ হতে সময় লাগছে।

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কনজারভেন্সি অফিসার আনিসুর রহমান বলেন, আমরা নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার করি। তা ছাড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে চলমান প্রকল্পগুলো এবং খাল খননের কাজ শেষ হলে এই জলাবদ্ধতার সমস্যা আর থাকবে না।

মন্তব্য করুন