
প্রকাশিত: ১২ জুলাই, ২০২৪, ০৮:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সবুজ শ্যামল এ দেশটা আগের মতো নেই। যেসব গুণের কারণে আমাদের এ দেশকে সবুজ-শ্যামল বলা হতো তা হল চারদিকে ঘন গাছপালা আর সবুজের সমারোহ। এখন সেই সবুজ-শ্যামল রূপ খুব কমই চোখে পড়ে।
গাছপালা ও ফসলি জমি ধ্বংসের কারণে পাখপাখালিও আগের মতো দেখা যায় না। গাছপালা কাটার ফলে পাখিদের আশ্রয়স্থল কমে যাচ্ছে। হরদম গাছপালা কাটা হলে পাখিদের বংশবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।জনসংখ্যার অধিক চাপে ফসলি জমি উজাড় করে তৈরি করা হচ্ছে বসতবাড়ি । হরদম কাটা হচ্ছে গাছপালা। মানছে না কেউ নিয়ম-নীতি। তাই পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। ব্যাপক হারে গাছপালা ও ফসলি জমি বিলীন হতে থাকলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খাদ্য সমস্যা একসময় প্রকট আকার ধারণ করবে।
তারই ধারাবাহিকতায় গৌরনদী ব্লাড ডোনার্স ক্লাব বৃহস্পতিবার সকালে টরকী বন্দর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আঙিনায় ২০ টি ও টরকী বন্দর ভিক্টোরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় আঙিনায় ২০ টি এছাড়াও অন্যান্য সর্বমোট ৬০ টি বৃক্ষরোপণ করেছে সংগঠনটি। উক্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অভিযানে উপস্থিত ছিলেন স্ব স্বা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহোদয়গণ।
ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা কাজী সুজন বলেন-পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গাছ লাগানোর বিকল্প নেই। আগেকার দিনে চারদিকে যে গাছপালা দেখা যেত, তার তিনভাগের একভাগও এখন দেখা যায় না। এমন চলতে থাকলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে। এমনিতেই দেশ পানিতে ডুবে যাওয়ার সতর্কবাণী দেয়া হচ্ছে।
এছাড়াও সভাপতি তানভীর আহমেদ শাকিল বলেন, বর্তমান বিশ্বের পরিবর্তনের লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ অভিযান কর্মসূচি বাস্তবায়ন জরুরী। তাই প্রত্যেকের উচিত দুটি করে বৃক্ষরোপণ করা। তারাই ধারাবাহিকতায় গৌরনদী ব্লাড ডোনার্স ক্লাব GBDC সংগঠনটি রক্তদান কর্মসূচির পাশাপাশি সামাজিক ও দেশ উন্নয়নমূলক অংশগ্রহণ করে।
কর্মসূচিতে বলা হয় গৌরনদী ব্লাড ডোনার্স ক্লাব এই বৃষ্টির মৌসুমে ৫হাজার বৃক্ষরোপন করা, তাদের এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সামনের দিকে এগিয়ে নিতে যেতে চাই বহুদূর তাই সকলের প্রতি আহ্বান সকলের নিজ নিজ স্থান থেকে একটি হলেও গাছ লাগান পরিবেশ বাজান।
মন্তব্য করুন