আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই, ২০২৪, ০৪:২১ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

আগৈলঝাড়ায় খড়ম পায়ে ৪০ বছর

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কাঠের তৈরি পাদুকা বা খড়ম এখন শুধুই স্মৃতি। তবে কালের আবর্তে হারিয়ে যাওয়া এই খড়ম এখনো টিকিয়ে রেখেছেন কেউ কেউ। তেমনই একজন বরিশালের আগৈলঝাড়ার পশ্চিম রাংতা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল মান্নান হাওলাদার। ৪০ বছর ধরে খড়ম পায়ে হেঁটে চলেছেন তিনি।

পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখতে আর নিরোগ থাকতে কাঠের তৈরি ঐতিহ্যবাহী খড়ম পায়ে চলাফেরা করেন তিনি। মান্নানের এই খড়ম পরে হাঁটা দেখতে প্রতিদিনই তার বাড়িতে ভিড় করেন আশেপাশের মানুষ। 

আবদুল মান্নানের শরীর এক খণ্ড সফেদ কাপড়ের জড়ানো। তার কণ্ঠে সবসময় থাকে বাউল, ভাণ্ডারি আর লালনগীতি। নিজের লেখা ও সুর করা গানতো থাকেই। এলাকা বা এলাকার বাইরে তিনি চলাফেরা করেন বিলুপ্তপ্রায় খড়ম পায়ে। অনেকেই তাকে ডাকেন বাউল মান্নান কিংবা ভাণ্ডারি মান্নান নামে।

তিনি নিম, সুন্দরি, সেগুন, মেহগনিসহ বিভিন্ন গাছের কাঠ দিয়ে তৈরি ৫০-৬০ জোড়া খরম পড়েছেন এ পর্যন্ত। সবসময় ৪ জোড়া খড়ম ঘরে মজুত রাখেন। একজোড়া খড়ম তৈরিতে খরচ হয় কাঠভেদে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। গৌরাঙ্গ মিস্ত্রী নামে এক ভক্ত তার খড়ম তৈরি করে দেন।

দেড় শতাধিক প্রেম-বিরহ আর আধ্যাত্বিক গান লেখা ও সুর করা বাউল মান্নান ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী, এক পুত্র ও তিন কন্যার বাবা

এলাকাবাসী জানান, খড়ম পায়ে মাইলের পর মাইল হেঁটে বেড়ান বাউল মান্নান। তাকে কখনো রোগাক্রান্ত হতে দেখেননি তারা।

মন্তব্য করুন