জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই, ২০২৪, ০৮:২০ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

স্কুলে শিক্ষার্থীদের ফেরাতে পুলিশের সহায়তা চাইলেন প্রধান শিক্ষক

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

জামালপুর জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরাতে পুলিশের সহায়তা চাইলেন প্রধান শিক্ষক হালিমা খাতুন। রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এমন সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, জামালপুর জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা বেশিরভাগ সময় দেওয়াল টপকে স্কুল পলায়ন করে। তাদের বাঁধা দিলেও তারা তোয়াক্কা করে না।

জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান বিজন কুমার চন্দ, জামালপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানসহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ।

সভা সুত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষমূখী করতে জামালপুর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক হালিমা খাতুনের এমন বক্তব্যে সভায় উপস্থিত সকলের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।

আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজাত আলী ফকির সাংবাদিকদের জানান, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার এবং জামালপুর জেলা স্কুল একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ। কতটুকু খারাপ অবস্থায় চলে গেলে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রধান শিক্ষক পুলিশের তদারকির দাবী করেন তা প্রধান শিক্ষকের বক্তব্যে স্পষ্ট বুঝা যায়। আমি সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পুলিশ নয়, শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা পরিষদের সুষ্ঠু তদারকি দাবী করছি।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা জানান, তিনি আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন এবং প্রধান শিক্ষকের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন। স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করতে যদি পুলিশ দরকার হয় তাহলে স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের কি ধরনের শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান এই আওয়ামী লীগ নেতা।

এব্যপারে প্রধান শিক্ষক হালিমা খাতুন মুঠোফোনে বলেন, তিনি সভায় বলেছেন যে, স্কুল চলাকালীন কিছু শিক্ষার্থী বাইরে অবস্থান করে, পুলিশি টহল জোরদার করা হলে বাইরের শিক্ষার্থীরা স্কুলের ভেতরে যাবে। সভায় উপস্থিত যারা ছিলেন তারা আমার বক্তব্যশুনতে বা বুঝতে ভুল করেছেন।

জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান সাংবাদিকদের জানান, প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য শুনার পর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন পুলিশের সহযোগিতা লাগবে এ বিষয়ে শিক্ষকদের নিয়ে দ্রুত সভা আহবান করার নির্দেশ দিয়েছি।

 

মন্তব্য করুন