
প্রকাশিত: ১৭ জুলাই, ২০২৪, ০৩:০৪ এ এম
অনলাইন সংস্করণ
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজশাহীতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং সারা দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে তাদের সমর্থনে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) বেলা ৩টা থেকে রাজশাহী সাহেব বাজার বড় মসজিদের সামনে রাজশাহী কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে বিভিন্ন স্লোগানে সড়ক অবরোধ করেন। একই সাথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা প্রথমে ক্যাম্পাসের ভেতরে আন্দোলন কর্মসুচী শুরু করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেওয়া চেষ্টা করে। খবরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ছড়িয়ে পড়লে রাস্তায় নেমে আসে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় পালিয়ে যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আগুনে জালিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৫টি মোটর সাইকেল।
শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে অবস্থান নিযে বিভিন্ন স্লোগানে আন্দোলন চালিয়ে যায়।
শিক্ষার্থীদের অবরোধে অচল হয়ে পড়ে রাজশাহী ঢাকা মহাসড়ক। রাবিতে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে সাহেব বাজারে জড়ো হওয়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দেয়।
রাবি শিক্ষার্থীদের সাথে আন্দোলনে যোগ দিতে গিয়ে তালাইমারি মোড়ে চার শিক্ষার্থীর উপর ছাত্রলীগের হামলার খবর পাওয়া গেছে।
আহতরা হলেন, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স শেষ বর্ষের ছাত্র মোঃ তৌফিক (২৪), ইসলামি ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ল্যাব সাইন্স বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র মাহিব (২২), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ২য় বর্ষের ছাত্র। আদনান (২২), বঙ্গবন্ধু কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মোছাঃ রুবাইয়া খাতুন (১৮)। এদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থী আদনান ও রুবাইয়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন অন্য দু'জন তৌফিক ও মাহিব ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন
রামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্স ইনচার্জ এএসআই মুকুল হোসেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে রাবি বঙ্গবন্ধু হল থেকে ছাত্রলীগের মজুদ করা অনেকগুলি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশে জমা দেন শিক্ষার্থীরা। কোটা বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ইসলাম শিক্ষা বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র সালাউদ্দিনসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা রাবিতে ছাত্রলীগকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করেন।
বঙ্গবন্ধু হল থেকে উদ্ধার হওয়া দেশীয় অস্ত্র মজুত করার জন্য ছাত্রলীগ সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে গ্রেফতারের দাবি জানান। কোটাপদ্ধতি উঠিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষনা দেন।
মন্তব্য করুন