পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই, ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

বিদ্যুতায়িত বড় বোনকে বাঁচাতে গিয়ে ছোট ভাইও নিহত

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের নরজান গ্রামে বিদ্যুতায়িত হয়ে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে তাদের মা রাজিদা খাতুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- ফারজানা খাতুন (১৬) ও রাসেল (১৩)। এরা যথাক্রমে দশম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তারা নরজান (ওলির মোড়) গ্রামের হিরোক হোসেন ও রাজেদা খাতুনের ছেল মেয়ে।

নিজেদের বাড়িতে থাকা বিদ্যুৎচালিত তাঁত (পাওয়ারলুম) শখের বসে চালাতে গিয়ে ফারজানা প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে অন্যরা হতাহত হন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একদন্ত ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন আলাল সরদার ও ইউপি সদস্য রেজাউল করিম পান্না।

স্থানীয়রা জানান, নরজান গ্রামের হিরু ইসলাম পেশায় তাঁতী। তার বাড়িতে বেশ কিছু বিদ্যুৎচালিত তাঁত (পাওয়ারলুম) রয়েছে। সেগুলো তাদের তাঁত শ্রমিকরা চালনা করেন।

বুধবার (১৭ জুলাই) পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তাঁত শ্রমিকদের ছুটি থাকায় হিরু ইসলামের বড় মেয়ে ফারজানা শখ করে তাঁতের মেশিন চালাতে যান। এসময় ফারজানা বিদ্যুতায়িত হয়ে আটকে পড়েন। তাকে উদ্ধার করতে ছোট ভাই এগিয়ে গেলে সেও বিদ্যুতায়িত হয়। এরপর
দুজনকে উদ্ধার করতে তাদের মা রাজিদা এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুতায়িত হন। এতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় ভাই-বোনের। এদিকে আহত মাকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

মৃত দুজনের বাবা হিরু ইসলাম বলেন, আজকে ছুটির দিনে শ্রমিকেরা কাজে আসেনি। তাই মেয়ে তাঁত চালাতে গেছিল। তাঁত মেশিনের বৈদ্যুতিক তার ছেঁড়া ছিল। সেটি তারা টের পাননি। এতে আমার সর্বনাশ হয়ে গেল।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পাওয়ারলুম তাঁত চালাতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মরদেহ পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

মন্তব্য করুন