
প্রকাশিত: ১৮ জুলাই, ২০২৪, ০৬:০৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
মাদারীপুরে কোটা বিরোধী আন্দোলনে ডিসি অফিস, পার্টি অফিস, পুলিশ ফাড়িসহ ব্যাপক ভাঙচুর, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া পাল্লা ধাওয়া, রাবার বুলেট নিক্ষেপ, ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন শিক্ষার্থী নিহত ও আহত অন্তত শতাধিক। এছাড়া নিক্ষোজ রয়েছে 2 জন। বৃহস্পতিবার সকালে মাদারীপুর পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে থেকে ধাওয়া খেয়ে ওই শিক্ষার্থীসহ দুজন শকুনি লেকে ঝাঁপ দেন। পরে একজনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। আরেকজনের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১১টার দিকে মাদারীপুর পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে পুলিশ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় আতঙ্কে দুই শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন পুলিশ সুপারের বাসভবনের কাছে শকুনি লেকে ঝাঁপ দেয়। পরে তারা কিছুক্ষণ সাঁতরে লেকের দক্ষিণ প্রান্তের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পর দুই শিক্ষার্থী লেকের পানিতে তলিয়ে যায়।
তারা জানান, স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল শকুনি লেকে নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালায়। দুপুর দেড়টার দিকে লেক থেকে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের দল। ডুবে যাওয়া আরেকজনের লাশ উদ্ধারে অভিযান চলছে।
এছাড়া ডিসি অফিস, পার্টি অফিস, পুলিশ ফাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছ। ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ধাওয়া পাল্লা ধাওয়া, রাবার বুলেট নিক্ষেপ, ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন শিক্ষার্থী নিহত ও আহত অন্তত শতাধিক। এর সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া নিক্ষোজ রয়েছে ৪ জন।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন বলেন, শকুনি লেকে নিখোঁজ এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। বাকি একজনের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল অভিযান পরিচালনা করছে।
এছাড়া পুলিশ সুপারের বাসভবনের সামনে আন্দোলন করার সময় আন্দোলনকারী পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
মন্তব্য করুন