বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই, ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

মুক্তিযোদ্ধার কোটা নেই, সন্তানের বয়স গেছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে মেয়ের বয়স কিন্তু ৩০ বছর পার হয়ে গেছে। অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধাদের কোন কোটা নেই। এখন ৯৮ ভাগই মেধা। শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে তান্ডব চালিয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। ছাত্র ভাইদের জানাতে চাই- যেহেতু সব দাবি মানা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আপনাদের বাকি দাবিগুলোও পর্যায়ক্রমে বিবেচনা করবেন এবং ব্যবস্থা নিবেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়া জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বিকেল সাড়ে চারটার দিকে হেলিকপ্টারে বগুড়া পুলিশ লাইন্সে নামেন। এরপর বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনে গত কয়েকদিনের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়, জজের বাসভবন, জাসদের অফিস, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, থানা ভবন, সদর ভূমি অফিস, মুজিব মঞ্চ, বঙ্গবন্ধুর মুর‌্যালসহ শহরের সাতমাথা এলাকা পরিদর্শন করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বগুড়ায় দেখলাম মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। অথচ এখানে মুক্তিযোদ্ধারা এই ইস্যুতে মাঠেই নামেননি। যারা একাত্তর সালে স্বাধীন বাংলাদেশ চায়নি তারা সবগুলো দল একত্রিত হয়ে ধংস লীলা চালিয়েছে। বগুড়া আওয়ামী লীগ অফিস, জাসদের অফিস, থানা ভবন, ভূমি অফিস, জাজেস কমপ্লেক্সে ভাঙচুর দেখলাম। যারা জঙ্গির উত্থান ঘটিয়েছিল, সেই দলগুলো সব সময়ই বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর দেশে পরিচিত করতে চেয়েছিল। আমরা বীরের জাতি। একাত্তরে অস্ত্র ছাড়াই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি।

মন্ত্রী বলেন, নরসিংদীতে জেলখানায় যেখানে আমরা জঙ্গিদের আটকে রেখেছিলাম সেখানকার গেট ভেঙে তাদেরকে বের করে নিয়ে গেছে। একটি গোষ্ঠী কখনোই এই দেশ স্বাধীন চায়নি। তারা চেয়েছিল দেশকে কিভাবে আতঙ্কিত করা যায়, দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাওয়া দেশকে কিভাবে স্তব্দ করা যায়, মুক্তিযোদ্ধার চেতনাকে কিভাবে ধ্বংস করা যায় তারা সেটাই চেয়েছিল। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠী নাশকতা করছে। দেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ এই নাশকতার সাথে জড়িত কেউই রেহাই পাবে না।

কারফিউ কত দিন থাকবে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুরের ঘটনা মোকাবেলায় সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। শিগগিরই সবার সহযোগিতায় আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারব।

বগুড়ার সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন ও প্রেস ব্রিফিংকালে মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু এমপি, জেলা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি আলহাজ¦ রেজাউল করিম তানসেন এমপি, বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান।

মন্তব্য করুন