নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই, ২০২৪, ১২:২৬ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

সোনারগাঁয়ে খায়রুলের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ, আহত ৩

ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর  আহত হয়েছে। 

২৭ জুলাই বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া চৌধুরীপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম (৪৩) বাদী হয়ে অঞ্জাতনামাসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া চৌধুরীপাড়া এলাকার খাইরুল (৩৮) ও মাজহারুল (৩৫) উভয় পিতা হানিফা এর সাথে একই এলাকার জহিরুল ইসলামের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার ২৭ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জহিরুল ইসলামের ক্রয়কৃত জমির দেয়াল, ঘরবাড়ি, বৈদ্যুতিক মিটার ভেঙ্গে ও ফলজ গাছপালা কেটে সেখানে জোর পূর্বক টিনের বেড়া তৈরি করে নিজ দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় বাধা প্রদান করিলে বিবাদী খাইরুল ও মাজহারুলের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীদের দেশীয় অস্ত্র চাইনিজ কুড়ালের কোপে আমজাদ (২৫) নামে একজন গুরুতর আহত হয় এবং তাফসির (৮) নামে এক শিশুকে এলোপাথারি ভাবে পিটিয়ে আহত করে। এসময় সন্ত্রাসীরা জমির মালিক জহিরুল ইসলামের বোন নারগিছ (৩৫) কে শ্লীলতাহানি করে এবং জোরপূর্বক ঘরে প্রবেশ করে নগদ ১২ হাজার টাকা, ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। তাদের ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী এসে আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এসময় সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে খুন/জখমের হুমকী দিয়ে চলে যায়।

ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম বলেন, নালিশা জমিতে ক্রমওয়ারিশ গনের প্রায় ৫০বছরের ভোগ-দখলীয় রেষ ধরে আমি খরিদ সূত্রে মালিক হয়ে চারদিকে ইটের বাউন্ডারি নির্মান করে ভোগ-দখলে আছি। প্রতিপক্ষের সহিত মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধ দেখা দিলে সামাজিক গণ্যমান্য ব্যাক্তিগন উভয় পক্ষের উকিলদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের  মালিকানা সংক্রান্ত কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে সালিশের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু পক্ষেগন সঠিক তথ্য ও দলিল পত্র উক্ত সালিশে প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়নি বিধায় উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যাক্তিগন প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে পূনরায় বসারও আলোচনা রেখেছিলেন। কিন্তু ১ম সালিশের প্রায় সপ্তাহ খানেক পরেই পবিত্র মাহে রমজান ও পরে উপজেলা নির্বাচনের সময় চলে আসায় বিষয়টি নিয়ে আর বসা হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে যতবার প্রয়োজন হয় পক্ষদ্বয়কে নিয়ে বসেই সমাধান করার পক্ষে সবাই।

তিনি আরো বলেন, গত ২/৩ বছর যাবৎ আমার প্রতিপক্ষ বিবাদী খাইরুল ও মাজহারুল গং জমিটি জোর পূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। বিবাদী খাইরুল সোনারগাঁও উপজেলা আইটি সেকশনে অফিসে (কম্পিউটার অপারেটর) খন্ডকালীন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে কর্মরত থেকে আমিসহ এলাকার আরো অনেক লোজনকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি এবং জমি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমাকে শান্তিতে থাকতে দিবেনা এবং আমাকে যেকোন সময় খুন ও জখম করবে মর্মে হুমকী প্রদান করে আসছে। আমি ও আমার পরিবারসহ সবাই বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, আমি প্রশাসন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম কামরুজ্জামান বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে মারামারির অভিযোগ পেয়েছি, সরেজমিনে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন