
প্রকাশিত: ১৬ জুলাই, ২০২৪, ০৯:০৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
নিজের জমি-জমা নেই। অভাব দারিদ্রতায় বসবাস। প্রয়োজন ও ইচ্ছে থাকলেও কিনতে পারেননি এক চিলতে জমি। তাই বাধ্য হয়েই অন্যের বাঁশঝারে ঘর উঠিয়ে সেখানেই বসবাস নাগেশ্বরীর মেছনির পাড়ের দু:স্থ, অসহায় সবেকদর আলীর।
দুর্ভাগা সবেকদর আলী কথাগুলো বলতে বলতে হাউ মাউ করে কেঁদে ফেলেন। পরে নিজেকে কিছুটা সংযত করে বলেন তার দুর্ভাগ্যের পুর্বাপর।
মুক্তিযুদ্ধের প্রায় ১০ বছর আগে জন্ম। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় তথ্য সংগ্রহকারী জন্ম তারিখ ভুল লেখায় পান না সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধা। বাঁশঝাড়ে ভাঙ্গা ঘরে থেকে দিনমজুরী করে সংসার চলে। এখন বয়সের ভারে নুহ্য, অসুখ বাসা বেধেছে শরীরে। তাই শ্রম বেচতে পারেন না। স্ত্রী একদিন অন্যের বাড়ীতে ঝি এর কাজ করতে না পারলে উপোস কাটাতে হয় দুজনকেই। এভাবেই চলছে মানবেতর জীবন। প্রতিবেশি শর্ত সাপেক্ষে তার বাঁশঝাড়ে ঘর তোলার অনুমতি না দিলে হয়তো মাথা গোঁজার ঠাইটুকুও থাকত না। টাকা নেই। তাই ঘর তোলার পর আর মেরামত হয়নি। দীর্ঘদিনে নড়বড়ে খুটি, ঘরের বেড়ায় অসংখ্য জোড়াতালি, চাউনি নষ্ট হয়ে অল্প বৃষ্টিতে পানি পড়ে ভিজে যায় বিছানা। হালকা বাতাসে যে কোন ঘরটি দুমড়ে মুচড়ে ভেঙ্গে যেতে পারে। তখন হয়তো ফের গৃহহীন হতে হবে তাকে।
সবেকদর আলী জানান, অনেকের কাছে গেছি মেলেনি একটি সরকারী ঘর। যে ঘরটি আছে সেটি কোন কারনে ভেঙ্গে গেলে গৃহহীন হয়ে যাবেন। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হবে তাকে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ জানান, বিষয়টি জানা ছিল না। তিনি আবেদন করলে তার জন্য যথাসম্ভব একটা ব্যাবস্থা করা হবে।
মন্তব্য করুন