ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৫ মে, ২০২৪, ১১:২৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

আইনমন্ত্রীর সাবেক এপিএসকে মাদকের সিন্ডিকেট ও আশ্রয়দাতা বললেন ইউপি চেয়ারম্যান

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক এপিএস ও কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া জীবনকে মাদকের সিন্ডিকেট ও মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা বললেন এক ইউপি চেয়ারম্যান।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নে কাপ পিরিচ এর এক নির্বাচনী সভায় কায়েমপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইকতিয়ার আলম রনি এসব কথা বলেন করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান ইকতিয়ার আলম রনি ওই সভায় বলেন, ‘আমি প্রমাণ সহ বলে যায়, আজকে কসবার সকল মাদক কারবারিদের সিন্ডিকেট এবং মাদক কারবারিদের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতা হচ্ছে জীবন সাহেব। তারা আজকে কসবার সকল মাদক কারবারিদেরকে প্রশ্রয় দেয়।

জুয়েল সাহেব যাদের দিয়ে মাদক ব্যবসা করে এক নাম্বার তালতলা গ্রামের ইকবাল; যে কিছু দিন আগে ইয়াবা ফেনসিডিল সহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে এরেস্ট হয়েছে। তার এক নম্বর শেল্টারদাতা জুয়েল। কসবা মরাপুকুর পাড়ের মিজান; যে এই জীবনের ডাইনে বায়ে আশেপাশে সব সময় যাকে নিয়ে ঘুরাঘুরি করতো সে ইয়াবা ফেনসিডিল সহ ধরা পড়ছে। এই মিজানকে দিয়ে রিমন মাদক ব্যবসা পর্যন্ত করতো। ওই রকম আরও অসংখ্য সিন্ডিকেট আছে, আমার কাছে তালিকা আছে। জুয়েল সাহেব মেয়র থাকা অবস্থায় পৌরসভার গাড়ি মাদক সহকারে ভৈরবে ধরা পড়ছে।’

ইউপি চেয়ারম্যান ইকতিয়ার আলম রনি বলেন, ‘আমি একটা মিটিং এ আছি। আমি আপনার সাথে পরে কথা বলবো।’

মো. রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া জীবন বলেন,‘ সে (ইউপি চেয়ারম্যান রনি) হইলো মাদকের গডফাদার। বাংলাদেশের সব লোক জানে আমি মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স। গাঁজা জাকির, গাঁজা জামাল এবং এখানে যা আছে এরা একটি সিন্ডিকেট করে রনির নেতৃত্বে টাকা উঠে। এরা সবাই মিলে এগুলো করে। আমি এগুলোর প্রতিবাদ জানাই, তীব্র নিন্দা জানাই। মন্ত্রী মহোদয়ের সামনে তারার সাথে চলে আলম মিয়া তাদের সামনে বলছে শিমরাইল থেকে কসবা সকল মাদক নিয়ন্ত্রণ করে ও।’

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় ধাপে ২১শে মে আলোচিত কসবা উপজেলায় ভোট।  বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আনারস প্রতীকের মো. রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া জীবন এবং কাপ-পিরিচ প্রতীকের ছাইদুর রহমান স্বপন এর মধ্যেই চেয়ারম্যান পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

এরমধ্যে ছাইদুর রহমান স্বপন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আপন ফুপুর ছেলে এবং কুটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। সেখান থেকে পদত্যাগ করে স্বপন উপজেলায় ভোটে নেমেছেন। এদিকে জীবন মন্ত্রীর ২৫ বছরের সঙ্গী এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

মন্তব্য করুন