মেহ্দী আজাদ মাসুম

প্রকাশিত: ৯ জুলাই, ২০২৪, ০৪:২১ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

মালেকের পর আবেদ আলী

আঙুল ফুলে বটগাছ হওয়া দুই গাড়ি চালক

আবেদ আলী ও মালেক । ছবি: সংগৃহীত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কোটিপতি গাড়ি চালক আব্দুল মালেকের পর এবার বেড়িয়েছে পিএসসির প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত পিএসসির চেয়ারম্যানের গাড়িচালক আবেদ আলীর শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার তথ্য। আঙুল ফুলে বটগাছ হওয়ার গল্প!

দুজন পেশাদার গাড়ি চালকের এমন বিত্তশালী হওয়ার গল্প, আলাদীনের চেরাগ হাতে পাওয়া রূপকথার নায়কদেরও হার মানিয়েছে। লেবাসধারী আলোচিত এই দুই গাড়ি চালকের একজন আব্দুল মালেক, যার অবৈধ আয়ের সব তথ্য উদঘাটিত হওয়ার পর থেকে তিনি আছেন কারাগারে। ক্রোক করা আছপ তার সব অর্-সম্পদ।

আর দুদিন আগে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক আবেদ আলীর অবৈধ আয়ে গড়ে তোলা সাম্রাজ্যের ফিরিস্তি সামাজিক যোগাযোগ ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর গতকাল সোমবার পুত্রসহ আটক হয়েছেন সিআইডির হাতে। রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। আবেদ আলী পিএসসির ৩০টি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে বিশাল বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন বলে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে।  

আবেদ আলী তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। ছেলেকে (ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত) নিয়ে ব্যাপক প্রচারেও নেমেছিলেন। তবে তার সে আশা আর পূর্ণ হলো না। বেরসিকরা আবেদ আলীর প্রশ্ন বিক্রি করে শতকোটি টাকার মালিক হওয়ার সব তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন।

স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, আলোচিত আবেদ আলী মাদারীপুরের ডাসার উপজলার পশ্চিম বোতলা গ্রামের মৃত আব্দুর রকমান মীরের ছেলে। আব্দুর রকমান মীরের তিন ছেলে এক মেয়ের মধ্য আবেদ আলী মেঝ। রকমান মীরের বড় ছেলে জবেদ আলী কৃষি কাজ করেন। ছোট ছেলে সাবেদ আলী এখনো এলাকায় অটারিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। আর আবেদ আলী পিএসসি’র প্রশ্ন ফাঁস করে অবৈধ আয়ের টাকায় আঙুল ফুলে বটগাছ হয়েছেন।

এলাকায় আবেদ আলী মানুষের কাছে পরিচয় দিতেন শিল্পপতি হিসেবে। আবেদ আলীর ছেলে সোহানুর রহমান সিয়াম ব্যবহার করতেন দামি গাড়ি। আবেদ আলী নিজেও দামি গাড়িতে চলাফেরা করতেন। এলাকায় কেউ জানতোই না তিনি ড্রাইভারের চাকরি করতেন। তিনি ঢাকাতে রিয়েল স্টেটের ব্যবসা করতেন বলেও এলাকায় প্রচারণা ছিলো।

বাবার (আবেদ আলী) উত্থান নিয়ে তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম সম্প্রতি একটি সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে তার বাবার উত্থান প্রসঙ্গে বলেন, 'আমার বাবা একদম ছোট থেকে বড় হয়েছে। আমার বাবার বয়স যখন ৮ বছর তখন পেটের দায়ে ঢাকায় চলে গেছে। ঢাকায় গিয়ে কুলিগিরি করে ৫০ টাকা দিয়ে তার ব্যবসা শুরু করে। এখন তিনি একটি লিমিটেড কোম্পানির মালিক।'

মন্তব্য করুন