বগুড়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই, ২০২৪, ০৯:১২ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

আড়াই কোটির মুজিব কেল্লা, ঠাঁই পাননি বানভাসিরা

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরের জনপদ পাকুল্লা ইউনিয়নের পূর্ব সুজাইতপুর এলাকায় চরাঞ্চলের বানভাসি মানুষের আশ্রয়ের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে মুজিব কেল্লা। যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় প্রায় ৩ একর জায়গায় আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে মুজিব কেল্লা নির্মাণ করে।

দুর্যোগকালীন সময়ে ১৫৫ ফিট দৈর্ঘ্য ও ১২০ ফিট প্রস্থের এই কেল্লাতে প্রায় দেড় হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন। মুজিব কেল্লা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন না হওয়ায় এবছর চলতি দুর্যোগে সেখানে বানভাসিদের ঠাঁই হয়নি। বন্যার মুখে বাড়ি ঘর-সম্বল রেখে চরাঞ্চলের মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে আশ্রয় নেন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে।

বানভাসিরা জানায়, তাদেরকে মুজিব কেল্লায় উঠতে মানা করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় মুজিব কেল্লা নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চার পাশে অসংখ্য বাড়িতে চরাঞ্চলের মানুষ বসবাস করে। চলতি বন্যায় বসতবাড়ি ফেলে মুজিব কেল্লায় ওঠার চেষ্টা করে বানভাসিরা। ঠাঁই না পেয়ে ফিরে গেছেন চরাঞ্চলের মানুষ।

পাকুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লতিফুল বারী বলেন, সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে মুজিব কেল্লf নির্মাণ হয়েছে। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় খুশি চরাঞ্চলবাসী। তবে উদ্বোধন না হওয়ায় এবছর বানভাসিরা সেখানে আশ্রয় পাননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা শারমিন বলেন, অচিরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুজিব কেল্লা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। এরপর থেকে সেখানে বানভাসিরা আশ্রয় নেবেন।

 

মন্তব্য করুন