এসএ সোনিয়া

প্রকাশিত: ২০ জুন, ২০২৪, ১১:৪৪ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

ঈদ পরবর্তী সাজসজ্জা

ছবি: সংগৃহীত

অন্য দিনের তুলনায় ঈদ পরবর্তী দিনগুলোতে একটু বেশি সুন্দর লাগুক সবাই এমনটাই চায়। ঈদের আগেই আমরা ব্যস্ত হয়ে যাই আমাদের পোশাক এবং সাজসজ্জা নিয়ে। তাই ছুটির এ দিনগুলোতে কোন পোশাকে কেমন সাজবেন তা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই।
ঈদ মানেই যেন খুশি, আনন্দ, সাজসজ্জা। আর সেই সৌন্দর্যের মাত্রাকে আরেকটু বাড়িয়ে তুলতে চাই নতুন জামা-কাপড়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিশেষ সাজ। ঈদের আয়োজনগুলোতে কিভাবে নিজেকে সাজাবেন চলুন জেনে নেওয়া যাক।

১. চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সকালে গোসলের সময় চুলে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে এরপর সিরাম।

২. নতুন পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চাই হালকা সাজসজ্জা, অর্থাৎ পরিপাটি লুক। যেহেতু তীব্র গরম বাইরে তাই মেকআপের আগে কিছুটা যত্ন নিতে হবে ত্বকের।

৩. টোনার দিয়ে ফেস ক্লিন করে একটি সিরাম দিন। ফেস সেট হয়ে গেলে একটি BB Cream ব্যবহার করতে পারেন। যদি বাহিরে যান তাহলে ফাউন্ডেশন লাগাতে পারেন।

৪. ন্যাচারাল লুক বজায় রাখতে ডাস্ট পাউডার বা ফেস পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। বেস তৈরি হয়ে গেলে  যার যার Skin tone বুঝে আই ভ্র এঁকে নিন।

৫.পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে আই লিডে কনসিলার দিয়ে সুন্দর একটি সেড নির্বাচন করুন । এবং হাইলাইটার ব্যবহার করুন এতে চোখের মেকআপ খুব সুন্দর করেই ফুটবে।

৬. আর চোখে মানানসই স্টাইলে আই লাইনারে লাইন ও হালকা মাসকারা ব্যবহার করতে পারেন। কড়া রোদে মেকআপ হাল্কা হলেই ভালো, হাল্কা টোনের ব্লাসন এবং তার ওপর হাইলাইটার ব্যবহারে ফেস অনেক সার্প ও গর্জিয়াস দেখাবে।

৭. যেহেতু চোখের মেকআপ হাল্কা হবে তাই লিপস্টিক একটু ডিপ রাখতেই পারেন তবে মেট ফিনিসিং।

৮. সকালের সাজে চুলটা রাখতে পারেন খোলা তবে মাঝখানে সিঁথি করে চুল দুভাগ করে ফ্রেঞ্চ বেণি চিকন করে করে পিছে ক্লিপ করে দিতে পারেন। এতে খাবার পরিবেশনের সময় সামনে চুল এসে অহেতুক ঝামেলা করবে না। আর এ মেকআপে দুপুর পর্যন্ত কেটে যাবে আশা করি।

৯. দুপুরের সাজটা একটু ন্যাচারাল লাগলেই ভালো, কারণ দিনের কড়া আলোয় অতিরঞ্জিত মেকআপ দৃষ্টিকটু লাগে তাই দুপুরের সাজের ক্ষেত্রে ন্যাচারাল, ফ্রেস, স্নিগ্ধ লুকটাই উত্তম।


তাই দুপুরের সাজে ম্যাটফিনিশ মেকআপ ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই খেয়াল রাখবেন মেকআপটি স্কিনটোনের সঙ্গে ম্যাচ করছে কি না। দুপুরের সাজে ভালো মানের বিবি অথবা সিসি ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। যা ত্বকে ইনস্ট্যান্ট গ্লো এনে দিবে।

১০. দুপুরের সময়টা যেহেতু  গরম তাই মানানসই ও আরামদায়ক হেয়ারস্টাইল করুন যেটা  আপনার জন্য দেখতেও ভালো লাগবে, আরামদায়কও হবে। পরিবার-পরিজন ও অতিথি আপ্যায়নে চুলের কারণে যেন বিরক্তি না লাগে সেদিকেও নজর রাখুন।

১১. রাতের সাজটা বেশ গর্জিয়াস করতে পারেন। পোশাকের বেলায়ও গর্জিয়াস শাড়ি বা কামিজ পরতে পারেন।


রাতের বেলার সাজে বেজকে ফোকাস করুন।  ফাউন্ডেশন, প্যানকেক কিংবা প্যানস্টিক দিয়ে বেস করুন। মুখে দাগ থাকলে কনসিলার দিয়ে দাগ ঢেকে দিন।
এরপর ব্যবহার করুন স্কিনটোন ফেস পাউডার। চাইলে লিকুইড বেসও করতে পারেন।

১২. পোশাকের সঙ্গে মানানসই রেখে চোখটা সাজাতে পারেন। চোখে স্মোকি লুক এনে চোখের পাতাজুড়ে একটু চকচকে (গ্লসি) শ্যাডো লাগিয়ে নিলেই পূর্ণ হবে রাতের সাজ। এছাড়া সেডের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন।

১৩. দিন-রাত সব বেলার সাজেই লিপসেলার ব্যবহার করতে পারেন। লিপসেলার মেকআপ রিমুভার ছাড়া ওঠে না। খাবার সময়ও তাই নষ্ট হয় না। ঠোঁটের ওপর গ্লিটার ব্যবহারও এখন বেশ জনপ্রয়ি। রাতের সাজে ব্লাশন বেছে নিন গোলাপি কিংবা বাদামি। রাতের সাজের সঙ্গে গোল্ড, স্টোন, ফ্রেন্সি, মেটাল, পুঁতিসহ সব ধরনের গহনাই ভালো লাগবে।

মন্তব্য করুন