প্রকাশিত: ১৫ ঘন্টা আগে, ১১:৫৭ এ এম

অনলাইন সংস্করণ

উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলেস : ব্যাপক সংঘর্ষ-গাড়িতে অগ্নিসংযোগ

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেসে গত সপ্তাহ থেকে অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযান শুরু করে দেশটির ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)। 

অভিযানে অন্তত ১১৮ জনকে আটক করে আইসিই। এর মধ্যে কেবল শুক্রবারেই ৪৪ জন আটক করা হয়েছে। এনিয়ে শহরটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ রুপ নেয় সংঘর্ষে এবং পরবর্তী সময়ে তা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে।  

বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ টানা তিনদিন ধরে চলছে। ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, গত শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব লস অ্যাঞ্জেলেসের প্যারামাউন্ট এলাকায় বিক্ষোভকারী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে সংঘর্ষ আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।

 উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। 

বিক্ষোভকারীরা ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিকে 'অমানবিক এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। 

শনিবারই ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দিয়ে ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। ডিক্রিতে বলা হয়, শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং ফেডারেল সম্পত্তি রক্ষা করাই এই সিদ্ধান্তের কারণ। তবে এরপরেও বিক্ষোভ তৃতীয় দিনে গড়েছে।  

তৃতীয় দিনের বিক্ষোভও সহিংসতায় পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। বিক্ষোভের সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অনেক বিক্ষোভকারীর হাতে মেক্সিকান পতাকা দেখা গেছে। 

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা ইট ও পাথর ছুড়েছে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দিকে জ্বলন্ত বস্তুও নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে। 

পুলিশের গাড়িও জ্বালিয়ে দিয়েছে তারা। এডওয়ার্ড আর রয়বাল ফেডারেল বিল্ডিং, মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টার এবং ১০১ ফ্রিওয়ের কাছে তৃতীয়দিন সংঘর্ষ হয়েছে। 

লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের কেন্দ্রস্থলে যানবাহন জ্বালিয়ে দিয়েছে। তৃতীয় দিনের বিক্ষোভেও পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। 

লস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে- তাতে বেজায় চটেছে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। তিনি একে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উস্কানি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ডেমোক্র্যাটরা ট্রাম্পের পদক্ষেপকে ক্ষমতার উদ্বেগজনক অপব্যবহার বলে অভিহিত করেছেন। 

এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বিক্ষোভ না থামলে আরও কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। এক্স-এ দেওয়া বার্তায় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে প্রয়োজনে মেরিন সেনা মোতায়েন করা হবে। 

বিক্ষোভকে 'জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি' হিসেবে বর্ণনা করে এর পেছনে সংগঠিত অপরাধী নেটওয়ার্ক বা বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন জড়িত থাকতে পারে বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। 

 

মন্তব্য করুন