
প্রকাশিত: ৯ জুলাই, ২০২৪, ০৭:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কর্মরত সার্ভেয়ার হাসান এর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি ভূমি মালিকের কাছ থেকে ফাইল পাস করানোর জন্য ২৫ থেকে ৩০% করে ঘুষ দাবি করে, আগে ভূমি মালিকরা তাকে ২০% করে ঘুষ দিলে ফাইল পাস করিয়ে দিত। সার্ভেয়ার হাসান ৩০% এর কম হলে ভূমি মালিকদের সাথে দুর্ব্যবহার করে এবং সেই সাথে তাদের ফাইল পাস করানোর নামে মাসের পর মাস সময় দিতে থাকে নয়তো তাদের তার নির্দিষ্ট কয়েকজন দালাল রয়েছে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলে। জমির মালিকরা আরো জানান সার্ভেয়ার হাসান খুব বেপরোয়া আচরণ করে।
সার্ভেয়ার হাসান থেকে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কিছুই না বলে চেয়ার থেকে উঠে চলে যায়, খুব রাগান্বিতভাবে বলে এসব আমি জানিনা, আমার উপরের সিনিয়রদের কাছ থেকে জেনে নিন।
তিনি আরো বলেন, যদি জানতে চান তাহলে ডিসি স্যার এবং এডিসি রেভিনিউ স্যার থেকে জেনে নিন।
কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় অতীতেও কয়েকজন সার্ভেয়ার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দফায় ঘুষের বিপুল পরিমাণ টাকাসহ (র্যাব) এর কাছে আটক হন এবং জেলে জান। তারপরও থামেনি এলও অফিসের ঘুষ কর্মকাণ্ড।
কিছুদিন ঘুষ গ্রহণের খবর না থাকলেও বছর পার না হতেই আবারো বেপরোয়া হয়ে ওঠে সার্ভেয়ারদের কর্মকান্ড তার মধ্যে অধিকতর বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সার্ভেয়ার হাসান।
সে বিভিন্ন সময় তার এক আত্মীয় ভূমি মন্ত্রণালয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করে বলে দাবি করে। তিনি কক্সবাজারে চাকরি করে কোটি কোটি টাকা আয় করে এই অবৈধ পথে।
কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলনের সদস্য সচিব এইচ এম নজরুল ইসলাম বলেন, "কক্সবাজারে মেগা প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে আলোচনায় যে প্রতিষ্ঠানটি রয়েছে সেটি হচ্ছে এলও অফিস। এই এল ও অফিসকে ঘিরে দুদকের অনেক অভিযান হয়েছে এবং অনেক সার্ভেয়ার আইনের আওতায় এসেছে। অনেকেই দুদকের মামলায় অভিযুক্ত হয়েছে, তারপরেও তাদের দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না কমিশন বাণিজ্য বন্ধ হচ্ছে না। এই ব্যর্থতার জন্য ডিসি অফিসসহ দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দায়ী, অভিযুক্ত যারা দ্রুত শাস্তির আওতায় যদি আনা যায় তাহলে এলও অফিসের যে দুর্নীতি সেটি লাগাম টেনে ধরা যাবে বলে আমি মনে করছি। কক্সবাজারের সর্বমহল চাই এই কমিশন বাণিজ্য বন্ধ এবং তাদের দুদকের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনা হোক।
মন্তব্য করুন