খুলনা ব্যুরো

প্রকাশিত: ২১ মে, ২০২৪, ০৮:৪৯ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

খুলনার তিন উপজেলায় ভোটার উপস্থিতি কম

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

দ্বিতীয় ধাপে খুলনার তিনটি উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টায় যথানিয়মে তেরখাদা, দিঘলিয়া ও ফুলতলা উপজেলায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতিছিল কম। তবে ভোটকেন্দ্রে পুরুষের চেয়ে মহিলাদের উপস্থিতি বেশি দেখা যায়।

তেরখাদা সরকারি ইখড়ি কাটেংগা ফজলুল হক মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মহিলা কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার কপিল দেব বসাক জানান, সকাল ৮টায় কেন্দ্রের ছয়টি বুথে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কেন্দ্রটির দুই হাজার দুইশো ২৯ জন ভোটারের মধ্যে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আড়াই ঘন্টায় ভোট দিয়েছেন ২৪৮ জন। কেন্দ্রটিতে ভোট পড়েছে ৯ শতাংশ।

এদিকে, দিঘলিয়া উপজেলার ব্রক্ষগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সকাল পৌনে ৯টায় ভোট প্রদান করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ মারফুল ইসলাম। তিনি আনারস প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সকাল থেকে এখানে ভোটার উপস্থিতি বেশী। পুরুষ ভোটারদের চেয়ে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। ভোটপ্রদান শেষে শেখ মারুফুল ইসলাম সাংবাদিকদেও বলেন, সুষ্ঠ এবং শান্তি পূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাররা ভোটদিতে এসেছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আমি পুনরায় বিজয়ী হব ইনশাআল্লাহ। চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ জাকির হোসেন এ কেন্দ্রে ভোট প্রদান করেছেন বেলা ১০টায়। একই কেন্দ্রে সকাল আটটায় ভোট প্রদান করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ জামিল মোর্শেদ মাসুম।

ব্রক্ষগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের তরুন ভোটার নাজমুন নাহার ভোটপ্রদান শেষে বলেন, সুন্দরভাবে ভোট হচ্ছে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে এলাম। কোন ভয় ভীতি কিংবা বাধা নেই।

এদিকে, পূর্ব সেন হাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট প্রদান শেষে ষাটোর্ধ্ব হোসনেয়ারা যানান, বাবাও সুষ্ঠুভাবে ভোট দিয়েছে। আসতে পথে কেউ বাধা সৃষ্টি করেনি। ভালোভাবে ভোট হচ্ছে। যারে যোগ্য মনে করেছি তাকে ভোট দিছি। একই ইউনিয়নের বাতিভিটা ১নং ওয়ার্ডের ভোটার মোঃ আবুল কালাম আজাদ ভোটপ্রদান শেষে বলেন, শান্তি পূর্ণ ভাবে ভোট হয়েছে। ভোটার উপস্থিতিও ভালো। যেহেতু আমাদের এই কেন্দ্রে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছে সেহেতু এ কেন্দ্রে ৬০ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি আশা করছি। পূর্ব সেনহাটি সরকারি বিদ্যালয়ে ১০ টাপর্যন্ত ভোট পড়েছে ১০ শতাংশ। কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার সংখ্যা তিন হাজার ৩৭৩ জন। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার পলাশ চন্দ্র মন্ডল এ তথ্য জানিয়েছেন। সেনহাটি ইউনিয়নের উত্তর চন্দনি মহল বগদিয়া আলহাজ্ব মকবুল হোসেন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মহিলা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৬৬১ জন। সকাল দশটা পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন ২৩০ জন। ভোটার উপস্থিতির ৯ শতাংশ বলে তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রের পিজাইডিং অফিসার মানস কুমার ঢালী। সেনহাটি ইউনিয়নের চন্দনীমহল শিল্প সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুষ কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা দুই হাজার ৬'শ ৯ জন। সকাল ১০ টাপর্যন্ত মোট ভোট প্রদান করেছেন ৩৩২ জন। ভোটার উপস্থিতি ১১ শতাংশ বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মঙ্গল চন্দ্র ঢালী।

এবারের নির্বাচনে ১৩৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৯৫টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ৪৩টিকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। সাধারণ কেন্দ্রের তুলনায় ঝুকিপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি নরাপত্তা ব্যবস্থা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা এ টিএম শামীম মাহমুদ জানান, তেরখাদা উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন। দিঘলিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৭ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন। ফুলতলা উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন (এরমধ্যে একজন ঘোষণা দিয়ে নিবার্চন থেকে সরে গেছেন। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ২ জন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, মোট ১৩৮টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে তেরখাদা উপজেলায় রয়েছে ৪৩টি, দিঘলিয়ায় ৫২টি ও ফুলতলায় ৪৩টি। জেলা পুলিশ সূত্র বলছে, তিন উপজেলায় তাদের আওতাধীন এলাকায় ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১১২টি। এরমধ্যে ৬৯টিকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন