
প্রকাশিত: ১৭ জুলাই, ২০২৪, ০৪:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বায়তুল মোকাররম মসজিদে গায়েবানা জানাজা শেষে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা একত্রিতভাবে মিছিলসহকারে বের হলে বাঁধা দেয় পুলিশ। বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেইট দিয়ে বের হওয়ার সময়ে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস ছুড়ে। এক পর্যায়ে সাউন্ড গ্রেনেডও মারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বিক্ষুব্ধ কর্মীরা দৌড়ে গলি ভিতে চলে যায় ও সেখান থেকে পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছুড়ে। প্রায় ২৫ মিনিট ধরে চলে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ।
পূর্বঘোষিত ভাবে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদে বিএনপিসহ যুগপ আন্দোলনের রাজনৈতিক দলগুলো ডাকা গায়েবানা জানাজার কর্মসূচি ছিলো। কিন্তু পুলিশ ১২টা থেকে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ও দক্ষিন গেইটে পুলিশ পাহারা বসায়। সারিবদ্ধভাবে পুলিশ সদস্যরা দাঁড়িয়ে থাকে। মুসল্লি নয় কিংবা তরুন বয়সি কাউকে সন্দেহ হলে মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয়। অনেকে প্রবেশ করতেও দেয়া হয়নি বলে বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের বেশ কিছু জ্যেষ্ঠ নেতা জোহরের নামাজের আজানের পর মসজিদে প্রবেশ করেন। নামাজ শেষে মূল মসজিদের বারান্দায় গায়েবানা জানাজা হয়। কোটা আন্দোলনে ছাত্র লীগ ও পুলিশের গুলিতে নিহত ৭ শিক্ষার্থীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় এই জানাজার কর্মসূচি দেয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ঢাকায় বায়তুল মোকাররমে মসজিদসহ সারাদেশে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়।
জানাজা শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার পর নেতা-কর্মীদের নিয়ে মসজিদ থেকে বের হন। এ সময়ে পুলিশ মসজিদের উত্তর গেইটের পুরোটা খোলা হয়নি যার ফলে মুসল্লিরা পুরো গেইট খুলে শ্লোগান দিতে দিতে মিছিল নিয়ে সামনে এগুতে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
মন্তব্য করুন