
প্রকাশিত: ১১ জুলাই, ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
পঞ্চগড়ে যারা ব্লাকে (অবৈধ পন্থায়) চা বিক্রি করে আর যারা কেনে উভয়কে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। প্রয়োজনে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর জেনারেল মো: আশরাফুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি চেয়ারম্যান চা বোর্ড।
তিনি আরো বলেন, আমাকে আমার দায়িত্ব পালন করতে হবে।যদি ভালো ভাবে দায়িত্ব পালন না করি তাহলে আমি মনে করি সরকারের কাজ আমি ঠিকমত করছিনা। সরকারের কাজ আমি ফাঁকি দিচ্ছি। আমার কাজ শুধু পঞ্চগড়ে এসে চা নাস্তা খাওয়া না আর প্রশংসা শুনা নয়।আমি কত কষ্ট করে এই ৩ বছর ধরে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। যেহেতু একটি ক্রান্তি কাল চলছে তাই আমাদের সকলকে মিলে একসাথে কাজ করতে হবে। তিনি বিদ্যুৎ বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন পঞ্চগড়ে বিশেষ করে ইলেকট্রিসিটি বিল যেসব চা কারখানা রয়েছে আমাদের কাছে তাদের নামের তালিকা রয়েছে প্রয়োজনে আমরা সে গুলো আপনাদের কাছে পাঠিয়ে দিবো। তবে এদের বিদ্যুৎ বিল গুলো আমাদের কাছে পাঠাতে হবে। এবং এটার সাথে আমরা সমন্বয় রেখে অবৈধ ভাবে যে চায়ের একটা কথা উঠেছে এটা আমরা চেষ্টা করবো বন্ধ করার। সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা লাগবে। আপনারা যদি সে বিষয়ে চিঠি চান আমরা চিঠি দিবো। কিন্তু এটা আমাদের দিলে আমরা বুঝতে পারবো যে ১ কেজি চা তৈরি করতে কত ইউনিট লাগে। আর কোন চা কারখানা কত পরিমান চা উৎপাদন করেন। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা টির আয়োজন করেন চা বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
উত্তরাঞ্চলের চা শিল্পে সম্পৃক্ত অংশীজনদের নিয়ে পঞ্চগড়ে ‘চায়ের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ করণীয় ও চা আইন-২০১৬ অবহিতকরণ’ বিষয়ক কর্মশালায় চা নিয়ে সমস্যা- সম্ভাবনা ও চা চাষীদের সঠিক দাম এবং বিভিন্ন বিষয়সহ সমস্যা সমাধানের বিষয় নিয়ে আলোচনা উপস্থাপন করা হয়।কর্মশালায় এসময় পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান শেখ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিরুল্লাহ, স্মল টি অনার্স এন্ড টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম খোকন, বটলিফ টি কারখানার সভাপতি সৌয়দ আবুল মনসুর, চা বোর্ডের পঞ্চগড় আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন, ক্ষুদ্র চা চাষি, বিডার, বায়ার, ওয়্যার হাউসের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন