
প্রকাশিত: ১৬ জুলাই, ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবীতে সারাদেশর ন্যায় ঝিনাইদহেও কর্মসূচী পালনের উদ্দেশ্য আজ মঙ্গলবার (১৬ জুন) সকাল ১১ টায় শহরের উজির আলী স্কুল মাঠে অবস্থান করছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শান্তিপূর্ণভাবেই চলছিল তাদের বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি কিন্তু হঠাৎ করেই অতর্কিতভাবে ছাত্রলীগের ছেলেরা লাঠি সোঠা ও হকস্টিক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আহত হয়েছে পাঁচজন শিক্ষার্থী ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় রয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, কোটা বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সকালে বিক্ষোভ মিছিল করার জন্য শহরের উজির আলী স্কুল মাঠে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সে সময় ছাত্রলীগের একটি মিছিল লাঠি-সোটা নিয়ে পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। তারা লাঠি, রড দিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করে ব্যানার কেড়ে নেয়। ভাংচুর করে মাইক। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে ছাত্রলীগ সেখান থেকে মিছিল সহকারে ফিরে যায়। হামলায় আন্দোলনকারী অন্তত ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকার থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে
ঝিনাইদহ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান জানান, নিজে ঘটনাস্থলে থেকে এই হামলাকান্ডটি ঘটিয়েছে, দেখা যায় তাদের এই মিছিল পন্ড করার পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে বাদ পড়েনি মেয়েরাও তাদের কেও মারপিট করা হয়।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তি করে তারা স্লোগান দিতে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের কটুক্তি করে যখন কোটা বিরোধীদের প্রতিহত করতে জেলা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা এগিয়ে আসে। সেই সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে তারা জেলায় যেখানেই মহান স্বাধীনতা ও প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তির মতো ঘটনা ঘটবে সেখানেই তখনই প্রতিহত করা হবে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন উদ্দীন রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ঘটনা শোনামাত্র সেখানে পুলিশ যেয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন সব স্বাভাবিক। এ ঘটনায় কেউ আটক নেই এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।
মন্তব্য করুন