প্রকাশিত: ৩১ জুলাই, ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কর্মসুচির সঙ্গে একাত্বতা ঘোষনা করে ঠাকুরগাঁওয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আদালতে চত্বরে আসার ঘোষনা দিলে সকাল থেকে পুলিশ বিজিবি আদালত চত্বরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থানে অবস্থান নেয়। দুপুর ১২ টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শহরের অপরাজয় ৭১ এর পাদদেশে সমবেত হয় এবং চৌরাস্তা অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে সদর থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ বাঁধা দেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাঁধা ভেঙ্গে আটগ্যালারী পার হয়ে পৌরসভার গেটের কাছে আসলে পুলিশের ২য় ব্যারিকেটের মুখে। এখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিজা আকতার ও সদর থউপজেলা নির্বাহী অফিসার বেলায়েত হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের বেষ্টনী তৈরী করা হয়। এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পুলিশ নিবৃত করার চেষ্টা করলেও তারা মরিয়া হয়ে উঠে। প্রায় আধাঘন্টা ব্যাপি বিতর্কের এক পর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আবারো পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙ্গে সামনের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ লাঠি চার্জ করে। এত ১০/১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয় এবং শিক্ষার্থীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
উল্লেখ্য, সারাদেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণগ্রেফতার, হামলা, মামলা, গুম ও খুনের প্রতিবাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি ঘিরে ঠাকুরগাঁওয়ে আদালত প্রাঙ্গণে ও আদালতের মূল গেটের সামনে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে তারা শান্তিপূর্ন মিছিল নিয়ে আদালতের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়।
মন্তব্য করুন