
প্রকাশিত: ১৯ মে, ২০২৪, ০৫:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ঢাকা সিলেট মহাসড়কের নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই জমজমাট সবজির হাট জমে। মহাসড়ক দখল করে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এসব হাট। এ কারণে প্রতিনিয়ত দেখা দেয় তীব্র যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে পরতে হয় বৃহত্তর পূর্বাঞ্চলের দূরপাল্লার চালক ও যাত্রীরা।
সরজমিনে বৃহস্পতিবার দেখা যায়, মহাসড়ক ঘেঁষে রায়পুরা উপজেলাধীন জঙ্গি শিবপুর সবজির হাট এলাকায় এ সকাল ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বেলা সাড়ে ১০ টায় যানজট কিছুটা নিরসন হয়।
গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কে ক্রেতা-বিক্রেতা ও সবজিবোঝাই ভ্যান, অবৈধ সিএনজি, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা এলোপাতাড়ি সড়কে পার্ক করা। মহাসড়কের উভয় পাশে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। ক্রেতা বিক্রেতাদের পদচারণ মুখর। হাটে বিভিন্ন এলাকার চাষিরা ফলফলাদি এবং সবজি বিক্রি করতে যানবাহনে করে হাটে আসেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে সবজি কিনতে এসেছেন পাইকাররা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, যানজটের অন্যতম কারণ মহাসড়কে সবজির হাট বসা। হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্ব পালনে উদাসীনতা এবং তদারকির অভাব। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলে আসলেও মহাসড়ক থেকে বাজার স্থানান্তরে প্রশাসনের নেই কোনো পদক্ষেপ।
ব্যবসায়ীরা জানান, রায়পুরার জঙ্গি শিবপুর, মরজাল বাসস্ট্যান্ড ও বেলাব উপজেলার বারৈচা বাসস্ট্যান্ড বাজারের ভেতরে সবজি ও সীজনাল ফল বেচাকেনার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এ কারণে ক্রেতা-বিক্রেতারা ইচ্ছা করেই মহাসড়কে হাট বসান।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা জানান, জেলার সবচেয়ে বড় পাইকারি সবজির হাট বারৈচা, শিবপুর বাজার। সীজনাল ফলের সবচেয়ে বড় বাজার মরজাল। বেলাব ও রায়পুরা উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের তিনটি অংশে এসব বাজার বসে। প্রতি শুক্র, সোম বুধবার বারৈচা
বাজারে সাপ্তাহিক হাট বসে। রোব ও বৃহস্পতিবার জঙ্গি শিবপুর বাজার বসে। মরজালে প্রতিদিন ভোর থেকে সারাদিন সীজনাল ফলফলাদির হাট বসে। যা সারাদিন ধরে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে ক্রেতা বিক্রেতাদের পদচারণ মুখর থাকে। এ হাট গুলোতে বিভিন্নএলাকার চাষিরা ফলফলাদি এবং সবজি বিক্রি করতে যানবাহনে করে হাটে আসেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে সবজি কিনতে আসেন পাইকাররা। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত শত শত সবজি বোঝাই ভ্যান গাড়ির দখলে থাকে মহাসড়ক। দেখা দেয় তীব্র যানজট। এ যেনো দেখার কেউ নই।
যানজটে আটকা পড়া ঢাকাগামী পরিবহনের চালক মজনু মিয়া। প্রচন্ড রোদে গরমে হাস পস।
কপালের ঘাম মুছতে মুছতে তিনি বলেন, ‘ভাই প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে যানজটে আটকে ছিলাম। ঢাকার যানজটের মতই এখানেও ভয়ানক অবস্থা। এই সমস্যা সমাধান চাই ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, মহাসড়কে এত বেশি ক্রেতা-বিক্রেতা ও ভ্যানের ভিড় থাকে যে, হাঁটাচলাও কষ্টকর। এখানে ট্রাফিক পুলিশের দেখা মেলে না। মাঝে মধ্যে সিএনজি অটোরিকশা ধরতে দেখা মিলে। মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন পার্কিং এ
যানজট লেগে থাকে। দ্রুত অবসান চাই।
ভৈরব হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মো সাকের আহমেদ বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল এসে যানজট নিরসনে কাজ করি। দীর্ঘদিন যাবত বাজার গুলো বসে আসছে। মাঝে মধ্যে গিয়ে নিরসনে কাজ করে থাকি। মহাসড়কে যানজট নিরসনে কাজ করবো।
মন্তব্য করুন