তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩ মে, ২০২৪, ০৮:৪০ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

তাড়াইলে সিগারেটের আগুনে দোকান ও বসতঘর পুড়ে ছাই

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে পূর্ব সাচাইল এলাকার হাজী গোলাম হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একটি মার্কেটের তেলের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মার্কেটে লাগা আগুনে পাঁচটি দোকান ও চারটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। 

সোমবার (১৩ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাড়াইল বাজারের গোরস্থান সংলগ্ন উত্তর পাশের গোলাপ মিয়ার মালাকাধীন কয়েকটি দোকান ও দোকানের পেছনে চারটি বসতঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী ভয়াবহ আগুনে পুড়েছে গোলাপ মিয়া ও তার ভাইদের দোকানপাট ও বসতবাড়ি। আগুন লাগার সাথে সাথে তেলের দোকানের আশেপাশে দাউ দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, সাচাইল ভূইয়া পাড়া এলাকার রাজন মিয়া দোকান ভাড়া নিয়ে পেট্রোল, কেরোসিন, মবিল বিক্রি করতেন। পাশেই চায়ের দোকান ছিল পূর্ব সাচাইল এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে আসাদের। চা স্টলে কেউ সিগারেট খেয়ে কেরোসিন অথবা পেট্রোলের ড্রামের কাছে ফেলে দেয়। হয়তো অসাবধানতার কারণেই আগুন লাগে।প্রায় একঘন্টা আগুনে পোড়ার পর ফায়ার সার্ভিস এসে আড়াই ঘন্টার চেস্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে গোলাপ মিয়া ও তার ভাইয়েরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরনের কাপড় ছাড়া ঘরের সব জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া চারটি বসতঘর গোলাপ মিয়া সহ চার ভাইয়ের।আজহারুল, রফিকুল, শফিকুল, আসাদের বসতঘর ও গোলাপ মিয়ার মার্কেটের পাঁচটি দোকান সহ অর্ধেক ঘর পুড়ে গেছে। 

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত গোলাপ মিয়া বলেন, ঘর থেকে বের হয়ে দেখি দোকানে আগুন লাগছে। ঘর থেকে রাস্তা পর্যন্ত যাওয়ার পর শুনি ঘরে আগুন।তিন মিনিটের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে গেছে।আগুনে আমার সব পুড়ে গেছে আমি নিঃস হয়ে গেছি।ঘরে থাকা সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা ও সাড়ে পাঁচ ভরি স্বর্ণের গয়না পুড়ে গেছে। আমার পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছু ঘর থেকে বের করতে পারি নাই।আমার দোকানপাট ও বাড়িঘরে আগুন লেগে ৫০-৬০লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার ও তাড়াইল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আল আমিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সিগারেটের আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। পেট্রোল ও কেরোসিনের ড্রামের আগুনে পাঁচটি দোকান ও চারটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।আগুনে কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা বলা সম্ভব হচ্ছে না।তদন্তের পর ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানা যাবে।

আগুনে পুড়ে যাওয়া মার্কেট ও বসতঘর স্থানীয় প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ্যদের সরকারি সহায়তার আস্বাস দেন।

 

মন্তব্য করুন