নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৭ জুলাই, ২০২৪, ০৭:০৩ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

নাগেশ্বরীতে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ জনপদ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নাগেশ্বরীতে ভাঙ্গছে একের পর এক বাঁধ। তীব্র স্রোতে লোকালয়ে ঢুকছে বন্যার পানি। তলিয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ জনপদ। দীর্ঘ হচ্ছে বানভাসীদের তালিকা। বন্ধ হয়ে গেছে ৯৭ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শনিবার দুপুরের পর দুধকুমারের পানির তীব্র স্রোতে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মিয়াপাড়ায় পানির তোড়ে ভেঙ্গে যায় পুরাতন বেড়ী বাঁধ। রবিবার সকালে একই ইউনিয়নের তেলিয়ানীতে বাঁধ উপছে লোকালয়ে ঢুকতে থাকে বন্যার পানি। কেদার ইউনিয়নের বাহের কেদারেও ভেঙ্গ গেছে এলজিইডি ক্ষুদ্র ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের নির্মিত একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। একইদিন ভোরে মুড়িয়ায় এক জায়গায় বাঁধ ভাঙ্গার উপক্রম হলে এলাকাবাসী তা নিজ উদ্যোগে সংস্কার করে। বাঁধ ভেঙ্গে বা উপছায়ে এ তিন জায়গা দিয়ে হুহু করে পানি ঢুকছে লোকালয়ে।

তেলিয়ানীর ওছমান গণি জানান, অস্বাভাবিকভাবে বাড়া দুধকুমারের পানি সকাল ১১ টার দিকে উপছায়ে প্রবেশ করতে থাকে। ক্রমে বাড়তে থাকে এর গতি। ধীরে ধীরে মাটি ক্ষয়ে পানি প্রবেশের অংশ প্রশস্থ হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে পানি প্রবেশ করে কিছুক্ষণের মধ্যৈ এখন তার উঠোনে হাটুপানি। ক্রমে পানির উচ্চতা বাড়ছে। একই কথা বলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আবেদ আলী। তিনি বলেন, পানি যেভাবে প্রবেশ করছে তাতে করে বিকেলের মধ্যে তেলিয়ানীর অধিকাংশ ঘর-বাড়ীতে পানি উঠে যেতে পারে। একই অবস্থা যেসব এলাকায় বাঁধ ভেঙ্গেছে তার আশে পাশের গ্রামগুলোর।

বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি জানান, শনিবার মিয়াপাড়ায় বেড়ী বাঁধের দুটি স্থানে ভেঙ্গে যায়। রবিবার তেলিয়ানীতে বাঁধ উপছায়ে লোকালয়ে ঢুকছে পানি। ফলে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে অনেক গ্রাম।

নাগেশ্বরী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ জানান, উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে ১১ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৩ টি ওয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় বানভাসীদের মাঝে শুকনো খাবার, ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন