
প্রকাশিত: ৬ জুন, ২০২৪, ০৯:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
গোবিন্দগঞ্জের মৎস্য চাষী আবু রায়হান নিজ পুকুরে চাষকৃত মাছ ধরতে গেলে প্রতিপক্ষরা বাধা দেয়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে গত ৭ মে স্থানীয় থানায় মামলা হয়। কিন্তু গত ১৩ মে প্রতিপক্ষরা জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও পুকুরের মাছ ধরতে বাধা দিচ্ছে। এনিয়ে বিপাকে পড়েছেন এই মৎস্য চাষী। ভুক্তভোগি মৎস্য চাষী আবু রায়হান উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের ভাগদরিয়া গ্রামের মোহাম্মাদ আলী আকন্দের ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার বড় সাতাইল বাতাইল মৌজার এক একর ৩ শতক জমিতে আবু রায়হানের একটি পুকুর আছে। তিনি প্রায় দুই যুগ ধরে এই পুকুরে বাণিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ করে আসছেন। বর্তমানে পুকুরটি ‘রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক’ গোবিন্দগঞ্জ শাখায় তিনলাখ টাকায় মর্গেজ আছে।
আবু রায়হানের অভিযোগ, বড় সাতাইল বাতাইল গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে জুয়েল (৩৬) তার নিকট গত ২রা মে ৩ লাখ টাকা চাঁদার দাবি করে। আবু রায়হান চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় জুয়েল ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তার নেতৃত্বে ১৩-১৪ জনের সংঘবদ্ধ লোকজন দেশীয় অস্ত্রসন্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই দিন বেলা ১০ টায় বেড়জাল দিয়ে পুকুরে মাছ ধরা শুরু করে। এ সময় আবু রায়হানকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তারা পুকুরের বিভিন্ন প্রজাতির ৮০ হাজার টাকার মাছ লুটে নেয়। পরে পুলিশ ৯৯৯ -এ মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছার পূর্বেই সন্ত্রাসীরা শটকে পরলে ঘটনাস্থল থেকে বেড়জাল আটক করে।
এ ঘটনায় আবু রায়হান গত ৭ মে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে জুয়েলসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়।
এছাড়াও অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ৫-৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। পুলিশ এ মামলায় ওই দিন রাতে নিজবাড়ি থেকে জুয়েল ও তার সহোদর বড় ভাই বেলালকে (৪০) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়। গত ১৩ মে অবশিষ্ট ৬ জন গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র
জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়। এদিকে, আবু রায়হান গত ৩ জুন বেলা ১১ টায় নিজ পুকুরে পুকুরে মাছ ধরতে গেলে জামিন প্রাপ্ত আসামিরা পূর্বের ন্যায় বাধা দেয় এবং প্রাণ নাশের ভয়ভীতিসহ নানা অকথ্য ভাষায় গালিগলাজ করে। এ বিষয়ে আবু রায়হান ৪ জুন নিরাপত্তার দাবি করে স্থানীয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তবে জুয়েল সরকার তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে পুকুরের মালিকানা দাবি করেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ জানান, উপরোক্ত ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন