ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৫ মার্চ, ২০২৪, ১১:৪৭ পিএম

অনলাইন সংস্করণ

পুরুস্কার পাচ্ছেন ডাকাত কাঁধে তুলে আনা সেই এএসআই

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এক ডাকাতকে গ্রেফতার করে কাঁধে তুলে আনার ছবি ভাইরাল হওয়া পুলিশ সদস্যরা পুরস্কার পাচ্ছেন। তাদেরকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।

এর আগে, শুক্রবার (২২ মার্চ) ইফতারের আগ মুহুর্তে উপজেলার হরিপুরের একটি জমি থেকে জীবন নামে এক ডাকাতকে এভাবেই ধরে আনে পুলিশ। জীবন ওই এলাকার হুসন আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা আছে।

সম্প্রতি সে মাধবপুর-হরিপুর সড়কে ডাকাতি করতে শুরু করে। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জীবনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে নাসিরনগর থানা পুলিশ।  ডাকাত জীবনকে গ্রেপ্তারের দায়িত্বে থাকা নাসিরনগর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এস.আই) রূপন নাথ, এএসআই কামরুল ইসলাম, ও তিন পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে হরিপুরে ছুটে যান।সেখানে গিয়ে দেখেন জীবন তার সঙ্গীদের দিয়ে একটি জমিতে বসে ইয়াবা সেবন করছিলো।

তখন পুলিশ সদস্যরা সেখানে সাদা পোশাকে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের পক্ষে গিয়ে জীবন ও তার সঙ্গীদের কাছে পানি চাওয়া হয়। অবস্থা বুঝে তখন জীবনকে আটক করেন পুলিশ সদস্যরা। পড়ানো হয় হাতকড়া। পুলিশ কনস্টেবল রানার হাতে কামড় দিয়ে ও ধস্তাধস্তি করে এক পর্যায়ে হাতকড়া নিয়েই দৌঁড়ে পালায়। পুলিশ সদস্য ছুটে গিয়ে আবার তাকে আটক করে।

এরপরও তাকে আনা যাচ্ছিলো না। এক পর্যায়ে এএসআই মো. কামরুল ইসলাম হাতে কাঁধে তুলে নেন। কিছুদূর আনার পর তাকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে কড়া পুলিশ পাহারায় থানায় নিয়ে আসা হয়।  ডাকাতকে কাঁধে তুলে আনার ছবি মূহুর্তেইই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

সবাই এএসআই কামরুলের সাহসিকতার প্রসংশা করেন। এই কাজের জন্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার তাদেরকে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এই বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন রুপালী বাংলাদেশকে জানান, প্রতিটি ভাল ও প্রসংশার কাজের আমরা পুরস্কৃত করে থাকি। এই পুরস্কারে যেন অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা অনুপ্রাণিত হয়। তাই আমরা নাসিরনগরে ডাকাত ধরে প্রশংসিত হওয়া পুলিশ সদস্যদের পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছি। আগামী কল্যাণ সভায় তাদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন