
প্রকাশিত: ১৯ মে, ২০২৪, ০৪:৩৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ফকিরহাট উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা ছুটছে ভোটারদের দ্বারে- দ্বারে। ২১ মে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরকিহীনভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের মন জয় করেত দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে সরগরম হয়ে উঠছে ভোটের মাঠ। আর মাএ বাকি ২ দিন ভোটের স্লিপ নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে সাধারণ ভোটাররা কাঙ্খিত সেই ভোটটি দেওয়ার জন্য।
এ দিকে, প্রার্থীদের লিফলেট পোস্টারে ছেয়ে গেছে শহর গ্রাম হাট -বাজার, অলিগলি সহ বিভিন্ন এলাকা। প্রার্থী ও সমর্থকদের গণসংযোগসহ উঠান বৈঠক ও পথসভা চলছে প্রতিদিন। আবার গানে গানে ভোট চাওয়া হচ্ছে মাইকের মাধ্যমে।
জমজমাট হয়ে উঠেছে নির্বাচনের প্রচারণা। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ও চায়ের স্টলে প্রার্থী সামর্থকদের মধ্যে আসন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান পদ নিয়ে চলছে আলোচনা ও তর্ক- বিতর্ক।
তবে এলাকার সাধারণ ভোটাররা বলছেন সৎ -যোগ্য, পরোপকারী ও বিপদে যাকে কাছে পাবে এমন প্রার্থীকে ভোট দিবে তারা। যে প্রার্থী উন্নয়ন করতে পারবে, অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেও গরিব দুঃখীর পাশে থাকবে, তাকে চাই সাধারণ ভোটাররা।
তাই নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, আলোচনা তত বাড়ছে কে হবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।
উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ৮ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ। ফকিরহাটের ৮ টি ইউনিয়নের মোট ৪৫ টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে ।
ভোট কেন্দ্রের বুথের সংখ্যা ২৪৫ টি এবং অস্হায়ী ৬ মোট ২৫১ টি। মোট ভোটারের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৬৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬২ হাজার ১৫৩ জন এবং মহিলা ৬২ হাজার ৯১০ জন।
ফকিরহাট উপজেলায় ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী , ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ২ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেন -স্বপন দাশ (আনারস), শেখ অহিদুজ্জামান বাবু (মোটরসাইকেল),ফজিলা বেগম (দোয়াত কলম)।
ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেন-মোঃ কাওসার আলী ফকির ( টিউবওয়েল), শেখ ইমরুল হাসান (তালা) সৈয়দ আলিদ ইমন (টিয়া পাখি)।
এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হলেন – তহুরা খানম সাথী ( কলস), আয়েশা সিদ্দিকা সুমি (ফুটবল)।
তবে দীর্ঘদিন পর ফকিরহাটে নির্দলীয় ও দলীয় প্রতীক বিহীন একটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এতে খুশি এলাকার সাধারণ ভোটারগণ।
মন্তব্য করুন