প্রকাশিত: ১২ জুন, ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
জেলার দাগনভূঞায় দাফনের ১১দিন পর ক্যান্সার আক্রান্ত আবদুল গফুর ভূঞার লাশ কবর থেকে আদালতের নির্দেশে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুর রহমান, সরকারি চিকিৎসক ডাঃ আছির ইনতেসার জারিন ও থানার ওসি মোঃ আবুল হাসিমের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে দাগনভূঞা আমলী আদালতের বিচারক ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা লোকমানের আদালতে গফুর ভূঞার ছেলে রাজু একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করতে দাগনভূঞা থানাকে নির্দেশ দেন। মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, গত ২৯ মে দাগনভূঞা পৌর এলাকার সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সড়কের ভূঞা ম্যানশন দখলের চেষ্টাকালে হামলায় আহত হন উপজেলার জগতপুর গ্রামের আবদুল গফুর ভূঞা। তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ায় ২৮ মে ভারত থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। গুরুতর অসুস্থ আবদুল গফুর ভূঞা ১ জুন ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান। ওইদিন রাতেই তাকে জগৎপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মারা যাওয়ার পরদিন গত ২ জুন ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও দাগনভূঞা আমলী আদালতে নিহতের ছেলে রিয়াদ হোসেন রাজু বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালত বাদীর মামলা আমলে নিয়ে থানা পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ ৪ জুন মামলা এজাহার হিসেবে রেকর্ড করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ রাসেল মিয়া আদালতে লাশ উত্তোলন ও ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করেন। আদালতের নির্দেশে আজ বুধবার সকালে উপজেলার জগতপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে নিহতের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার বাদী আরও জানান, গত ২৯ মে উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোট গ্রহণের দিন ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসী ভবনে হামলা চালিয়ে দরজা জানালা ভাংচুর করে তান্ডব চালায়। এসময় তারা দরজার বাইরে থেকে আটকে দিয়ে দ্বিতীয় তলায় আমার বাবার রুমে ঢুকে মা, বোন ও দেড় বছরের ভাগ্নিকে বেদম মারধর করে এবং আমার বাবাকে কিল ঘুষি মারে। ভবনের বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। আমার বাবার অস্ত্রোপচারের স্থলে কিল ঘুষি লাগায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তিন দিন রক্তক্ষরণে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন শনিবার ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসিম লাশ উত্তোলনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে জানান হবে।
মন্তব্য করুন