
প্রকাশিত: ১৯ মার্চ, ২০২৪, ১১:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় বিদ্যুৎ লাইন কাটার পরও মিটার বন্ধ থাকা অবস্থায় ভৌতিক রিডিং দেখিয়ে বিল আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। গাবতলী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বকেয়া বিল পরিশোধের নোটিশ না দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।
সোমবার (১৯ মার্চ) বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন গাবতলী উপজেলার চক-সেকেন্দার গ্রামের মৃত মনি চন্দ্রের ছেলে নব চন্দ্র শীল।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ভূক্তভোগী নব চন্দ্র শীল ৬০৫টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তাকে বিল পরিশোধের নোটিশ দেওয়া হয়নি। বিনা নোটিশে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে গাবতলী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন। বিদ্যুৎ বিভাগের নীতিমালায় বকেয়া বিলের জন্য পরপর ৩ বার পরিশোধের নোটিশ করার পর গ্রাহক বিল পরিশোধে ব্যর্থ হলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নিয়ম রয়েছে। এ নির্দেশনা অমান্য করে শতশত গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
অভিযোগে ভূক্তভোগী আরও উল্লেখ করেন, গ্রাম অঞ্চলের মানুষের কাছ থেকে ডিসি/আরসি'র নামে অর্থাৎ বিদ্যুৎ লাইন কাটা এবং লাগানোর কথা বলে গ্রাহকের কাছ থেকে মোটাঅংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে পল্লী বিদ্যুতের লোক পরিচয়ে বাবলু, সিদ্দিক, মাসুদসহ একাধিক অসাধু ব্যক্তিরা প্রতারণা করছে। নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া, পুরনো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, আবার পুনরায় সংযোগ লাগানোসহ নানা কাজের কথা বলে মোটাঅংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু ব্যক্তিরা।
ভূক্তভোগী নব চন্দ্র শীল জানান, বৈদ্যুতিক তার কাটার পাশাপাশি একাধিক ব্যক্তির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পরও মিটার বন্ধ থাকা অবস্থায় ভূয়া/অবৈধভাবে বিভিন্ন পরিমাণ ইউনিট বা রিডিং দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছে থেকে বিদ্যুৎ বিলের কাগজ দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে গাবতলী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। যেকারণে এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎ অফিসের লোকদের সাথে গ্রাহকদের মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। এলাকার জনসাধারণ ফুঁসে উঠছে। যেকোন সময় ধরনের আইন-শৃঙ্খলা অবনতির শঙ্কা রয়েছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলেও পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মন্তব্য নেওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন