
প্রকাশিত: ২৫ জুন, ২০২৪, ০৫:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
বগুড়া শহরের মাটিডালিতে আইএফআইসি ব্যাংকের উপশাখায় সিন্দুক ভেঙে ২৯ লাখ ৪০ হাজার ৬১৮ টাকা লুটের ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ব্যাংক থেকে লুন্ঠিত টাকার মধ্যে ১০ লক্ষাধিক টাকা, লুটের টাকায় কেনা একটি মোটরসাইকেল ও ব্যাংকের সিন্দুক ভাঙার কাজে ব্যবহৃত লোহার তৈরি টায়ার লিভার উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বগুড়ার পুলিশ সুপার (পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম, পিপিএম সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৫ দিন ধরে বগুড়া ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আন্ত:জেলা চোর চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার ও টাকাসহ আলামত উদ্ধার করা হয়। ব্যাংকে ঘটনার পর আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জড়িতদের সনাক্ত করে পুলিশ। মাটিডালিতে আইএফআইসি ব্যাংকের উপশাখায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা টার্গেট করে চুরির ঘটনা ঘটায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা- বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার দক্ষিণ আটকরিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে পাভেল মিয়া, আদমদিঘী উপজেলার ভালশন কুন্ডুপাড়ার বিপুল চন্দ্র সরকারের ছেলে বিপ্লব সরকার মিথুন ওরফে মিতু, গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার সিংড়িয়া গ্রামের ফুল কিশোর রাজভরের ছেলে বিমল রাজভর ও বগুড়া সদরের বড় টেংড়া হারবালা আদর্শ গ্রামের ফারাজ মুন্সির ছেলে জাহিদুল ইসলাম। ব্যাংক থেকে লুন্ঠিত টাকার মধ্যে সোনাতলার পাভেলের বসতবাড়ি থেকে ১ লাখ একহাজার ৪৭০ টাকা, ফুলছড়ি বিমল রাজভরের শশুরবাড়ি থেকে ২ লাখ ৯৩ হাজার ২২০ টাকা, আদমদিঘীর মিথুনের বাড়ি থেকে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫০ টাকা এবং বগুড়া সদরের জাহিদুলের বাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। লুটের টাকায় জাহিদুলের কেনা লাল রংয়ের একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদুলের দেওয়া তথ্যে মাটিডালি বিমান মোড়ের খান কমপ্লেক্সের (২য় তলায় আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি উপ-শাখা) ভবনের পেছনের জঙ্গল থেকে সিন্দুক-তালা ভাঙার কাজে ব্যবহৃত লোহার তৈরি ১টি টায়ার লিভার উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, আইএফআইসি ব্যাংকের উপ-শাখায় গত ১২ জুন সিন্দুক ভেঙে টাকা চুরি করে সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা। এ ঘটনায় ১৩ জুন রাতে বগুড়া সদর থানায় চুরির মামলা দায়ের করা হয়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার রাত সোয়া ১২টার দিকে ঘটনাস্থলের অদুরে মাটিডালি ব্রিজ এলাকায় চোর চক্রের সদস্যরা পৃথকভাবে এসে একত্রিত হয়।
আইএফআইসি ব্যাংকের উপশাখার ভবনের উপরে উঠে দুইজন ভিতরে প্রবেশ করে। রাত সোয়া ২টার দিকে জাহিদুল ও বিমল চুরির কাজ শুরু করে। তারা মুখে মাস্ক ও পলিথিন দিয়ে নিজেদের মাথা ঢেকে ব্যাংকের সকল সিসি ক্যামেরা কাগজ ও টিস্যু পেপার দিয়ে ঢেকে দেয়। চুরির সময় অন্য তিনজন ভবনের আশেপাশে সতর্ক পাহারায় ছিল। ব্যাংকের উপ-শাখার ভিতরে থাকা একটি ময়লা রাখার বস্তায় টাকাভর্তি করে নিয়ে যায়।
মন্তব্য করুন