
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ, ২০২৪, ১২:৩৭ এ এম
অনলাইন সংস্করণ
রাশাহীর বাগমারায় পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা। তাঁরা স্থানীয় তাহেরপুরী, সুপার কিংস, লাল তীর জাতীয় বীজ চাষ করছেন। দৃষ্টিনন্দন পেঁয়াজ বীজকে স্থানীয়রা কালো সোনা হিসাবে অবহিত করেন।
উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের কোন্দা বিলের পেঁয়াজ বীজ চাষী নাজমুল হক, মাজেদুর রহমান জানান, তাঁরা ১ বিঘার অধিক জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছেন। বিঘা প্রতি তাঁদের খরচ পড়বে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় (৩৩ শতাংশে) ১০০ থেকে ১২০ কেজি বীজ উৎপাদন হয়ে থাকে। বছর ভেদে ২৫০০/- হতে ৩০০০/- হাজার টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বীজ বিক্রয় হয় । আবহাওয়া অনুকূল থাকলে তাদের ২/৩ লক্ষ টাকা লাভ হবে।
তাহেরপুর পৌর এলাকার আশরাফুল ইসলাম ফরাসী, সালাউদ্দীন, আব্দুস সালাম আকন্দ জানান, সার, কীটনাশক, শ্রমিকের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের লাভের পরিমাণ কম হচ্ছে। বাপ-দাদার পেশা তাই ধরে রেখেছেন। পেঁয়াজের ফুল ফোটার পর প্রাকৃতিক ভাবে এবং ১৪/১৫ দিন হাত দিয়ে কৃত্রিম পরাগায়ন ঘটালে অঙ্কুরোদ্দগম বেশী হয়।
কৃষক নাজমুল হক আরও জানান, নারী শ্রমিকদের মজুরী কম হওয়ায় এ কাজে তিনি নারী শ্রমিকদের কাজে লাগান।
গ্রামীণ নারীরা সংসারের কাজ কর্ম সেরে বাড়তি আয় করে তাদের সংসারও ভালো চলে। পুরুষ শ্রমিকদের মজুরী পাঁচ শত টাকা, সেখানে নারী শ্রমিকরা দিনে তিন শত টাকা মজুরী পেয়ে থাকেন । উল্লেখ্য তাহেরপুর হাট এলাকায় উন্নত পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন ও বিপণন হয় বলে বারী-১ জাতকে তাহেরপুরী জাত হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়।
বাগমারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক ‘রূপালী বাংলাদেশ’কে জানান, এবার বাগমারায় ১০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় তাহেরপুরী সহ কয়েক প্রকার পেঁয়াজ বীজ চাষ করা হয়েছে। ৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।
মন্তব্য করুন